বীরেন্দ্র সহবাগ। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলে খেলার সময়ই অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। এক কথায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে সম্প্রতি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন সহবাগ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সহবাগের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগগুলিতে খেলতে দেখা যাবে কিনা। তার উত্তরে সহবাগ প্রথমে মজা করে বলেছেন, ‘‘না! কেন? কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা বড়লোক মানুষ। আমরা কোনও গরিব দেশে যাব না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমার এখনও মনে আছে, যখন ভারতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলাম, ঠিক অবসর নয় বাদ পড়েছিলাম তখনকার কথা। আইপিএল খেলছিলাম। সে সময় বিগ ব্যাশ লিগ খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে। তোমরা আমাকে কত টাকা দেবে?’ ১ লাখ ডলার (এখন প্রায় ৮৪ লাখ টাকা) দেবে বলা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম, এই টাকা আমি ছুটির দিনেই খরচ করি।’’ সহবাগ কথা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ১ লাখ ডলার তো এক দিন আমাদের পানীয়ের জন্যই খরচ হয়েছিল।’’
কথায় কথায় সহবাগ জানিয়েছেন, বিদেশে এক মাস থেকে ক্রিকেট লিগ খেলতে রাজি ছিলেন যদি তাঁকে অন্তত ১০ লাখ ডলার (এখন প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা) দেওয়া হত। তিনি বলেছেন, ‘‘অন্য দেশে এক মাস থেকে বিগ ব্যাশ বা দ্য হান্ড্রেড খেলতেই পারি। তার জন্য আমাকে মাত্র ১ বা ২ লাখ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা) দেবে, এটা হতে পারে না। এত কম টাকায় খেলতে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।’’
শুধু ক্রিকেটার হিসাবেই নয়, বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার হিসাবেও বিদেশি চ্যানেলগুলি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে আর্থিক কারণে চুক্তি করতে পারে না বলে জানিয়েছেন সহবাগ। গিলক্রিস্টের সঙ্গে কথায় তিনি বলেছেন, ‘‘এক বার আমাকে স্কাই স্পোর্টস থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল, তারা আমাকে বিশেষজ্ঞ হিসাবে চায়। প্রস্তাব শুনেই আমি বলে দিয়েছিলাম, ‘আমাকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন। কারণ আমার দাম আপনারা দিতে পারবেন না।’ তার পরেও তারা আমাকে বলে, ‘আপনি কত চান বলুন।’ আমি আবার বলেছিলাম, ‘‘বলছি তো আপনারা আমার টাকা দিতে পারবেন না।’ তার পরেও আমাকে বলা হয়, কত টাকা চাই জানাতে। আমি বলেছিলাম, ‘‘ঠিক আছে, আমাকে প্রতি দিনের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড (এখন প্রায় ১০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) দিতে হবে। এটা শোনার পর স্কাই স্পোর্টসের সেই প্রতিনিধি আমাকে বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছিলেন। এই টাকা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’’’
সহবাগ বিদেশে দীর্ঘ দিন থাকতে নারাজ। তাই ধারাভাষ্যকার বা বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি এমন টাকা দাবি করেন, যাতে সংশ্লিষ্ট বিদেশি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে যেতে বাধ্য হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy