ধ্রুব জুরেল। ছবি: রয়টার্স।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মাঠে এক ভারতীয় উইকেটরক্ষকের উত্থান দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রবিবার রাঁচীতে ধ্রুব জুরেলের ৯০ রানের ইনিংস না থাকলে সমস্যায় পড়তে হত ভারতকে। সেই জুরেল জীবনের দ্বিতীয় টেস্টে অর্ধশতরান করে স্যালুট করলেন। কেন?
জুরেলের বাবা ভারতীয় সেনার অংশ। কার্গিল যুদ্ধে অংশও নিয়েছিলেন তিনি। রাঁচীতে অর্ধশতরান করে জুরেল তাঁর সৈনিক বাবাকেই উৎসর্গ করলেন সেই ইনিংস। ম্যাচ শেষে জুরেল বলেন, “ওই স্যালুট আমার বাবার জন্য। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে রান করলেও আমি এই ভাবেই উৎসব করতাম। বাবা মাঠে নেই। কিন্তু আমি জানি নিশ্চয়ই বাবা টিভিতে খেলা দেখছে। তাই বাবাকে উৎসর্গ করলাম ওই অর্ধশতরান।”
জুরেলের ৯০ রানের ইনিংসে ভর করেই ভারত ৩০৭ রান তোলে। ১৪৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন জুরেল। তিনি বলেন, “গত রাতে আমার ঘুম আসেনি। শুধু ভেবেছি কী ভাবে ক্রিজ়ে আরও বেশি সময় কাটানো যায়, রান করা জয় এবং দলকে সাহায্য করা যায়। যত বেশি রান করব, তত কম রান চতুর্থ ইনিংসে তাড়া করতে হবে। এটাই আমি ভাবছিলাম ব্যাট করার সময়। রবিবার ব্যাট করার সময়ও আমার মাথায় এটা ঘুরছিল।”
রাজকোটে অভিষেক হয় জুরেলের। স্বপ্ন সত্যি হয় তাঁর। জুরেল বলেন, “আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটা মুহূর্ত। সব কিছু যেন মন্থর হয়ে গিয়েছিল সেই সময়। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম সব কিছু। আমার পরিবার খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে টেস্ট খেলব। সেটাই সত্যি হচ্ছিল। আমার পরিবার ঈশ্বর বিশ্বাসী। আমি বাবাকে ম্যাচ দেখতে আসতে বলেছিলাম। বাবা বুঝতে পারেনি আসবে কি না। বাবা বলেছিল, যা রান করবে, তা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করো। বাবা বলেছিল মন দিয়ে খেলতে আর রান করতে।”
মাত্র ১০ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে জুরেলের। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার কোনও আফসোস নেই। আমি চাই দল জিতুক। ট্রফি পাক। দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল। সকলে হাততালি দিচ্ছিল। কিন্তু আমার মাথায় চলছিল, খেলা এখনও বাকি। আমাকে উইকেটরক্ষা করতে হবে এ বার।” উইকেটরক্ষা করার সময় একটি দারুণ ক্যাচও ধরেন জুরেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy