রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একটা সিরিজ়। তার পরেই সোজা বিশ্বকাপ। দেড় বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে ফেরানো হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। সুযোগ পেয়েই বিশ্বকাপের দলে ডাক পাওয়া এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উইকেট তুলে নেওয়া। ৩৭ বছরের অশ্বিনের কাছে এ এক নতুন শুরু। কিন্তু তিনি নাকি বিশ্বকাপ খেলতেই চাননি! এমনটাই রবিবার ম্যাচ জিতে জানালেন অশ্বিন।
এশিয়া কাপে চোট পান অক্ষর পটেল। তার পরেই ডাক আসে অশ্বিনের। তিনি রবিবার বলেন, “হঠাৎ করে ডাক পেলাম। আমি তো বাড়ি বসে মজা করছিলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটা ম্যাচ খেললাম। তবে (রাহুল) দ্রাবিড় এবং রোহিত (শর্মা) আমাকে বলে রেখেছিল যে, প্রয়োজন হলে ডাকবে। আমি মজা করেই বলেছিলাম যে, আমাকে যেন ডাকতে না হয়।”
চেন্নাই অশ্বিনের ঘরের মাঠ। এখানে খেলেই বড় হয়েছেন তিনি। সেই মাঠে প্রথম বার বিশ্বকাপের ম্যাচ খেললেন অশ্বিন। বলেন, “চেন্নাইয়ে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। তবে এমন পিচ দেখিনি। অনেক জায়গাই ভেঙে গিয়েছে। ভাল হয়েছে টস হেরে গিয়েছি। দ্বিতীয় ইনিংসে (জস) হেজলউড এবং বাকিদের বল যে ভাবে নিচু হচ্ছিল! কী হবে ভাবছিলাম আমরা সাজঘরে বসে। তবে দর্শক আমাদের জন্য সব সময় গলা ফাটিয়েছে। এই পিচে এক রকম গতিতে বল করা কঠিন। আমার প্রথম ৬-৮ বল লেগেছিল পিচ বুঝতে।”
অস্ট্রেলিয়া ১৯৯ রানে শেষ হয়ে যায়। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত এক সময় ২ রানে ৩ উইকেট হারায়। অষ্টম ওভারে বিরাট কোহলির মারা একটি বল সোজা উপরের দিকে উঠে যায়। সেই ক্যাচ ফস্কান মিচেল মার্শ। অশ্বিন বলেন, “কোহলির মারা বলটা যখন উপরের দিকে উঠল, আমি সাজঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল পালিয়ে যাই। সব শেষ হলে কেউ আমাকে ডেকে দিক। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা কখনওই সহজ নয়। পুরো ম্যাচ আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার পা ব্যথা করছে।”
১৩ বছর ভারতের হয়ে খেলছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, “যে দিন দলে ডাক পেলাম, সকলে আমাকে বলছিল, বিশ্বকাপ জেতাব। আমি বলেছিলাম, যত দিন ভারতের হয়ে খেলতে পারছি, তত দিন খুশি। ১৩ বছর হয়ে গেল। এখনও দলকে জেতানোর চেষ্টা করে যাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy