লখনউয়ের উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলের অন্দরে দু’রকম কথা শোনা যাচ্ছে। হার্দিকের উল্টো কথা বলছেন সূর্য। —ফাইল চিত্র
ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লখনউয়ের উইকেট ঘিরে দলের অন্দরেই বিবাদ শুরু হয়ে গেল। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর প্রায় উল্টো কথা বললেন সহ-অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাঁর মতে, পিচ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। নিজেদের খেলার উপর নজর দিতে হবে।
লখনউয়ের পিচ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সূর্য। তিনি বলেছেন, ‘‘পিচ নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই। যেমন পিচ থাকবে তার মধ্যেই দু’দলকে খেলতে হবে। তাই কোন মাটিতে খেলছি সেটা বড় কথা নয়। এগুলো আমাদের হাতেও থাকে না। কিন্তু কী ভাবে খেলব সেটা আমাদের হাতে থাকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে আমাদের।’’
লখনউয়ের পিচ প্রস্তুতকারককে ছাঁটাই করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএলের আগে অন্য প্রস্তুতকারককে আনা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে দু’টো কালো মাটির পিচ তৈরি করা হয়েছিল। ভারতীয় দলের নির্দেশেই নাকি তিন দিন আগে লাল মাটির পিচ তৈরি করা শুরু হয়। সেটা করতে গিয়েই বিপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ, সরাসরি ভারতীয় দলের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। উইকেট কেমন হবে সেই বিষয়ে তাঁদের কোনও নির্দেশ দেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেছেন সূর্য।
সূর্যের মতে, খেলায় লড়াইটাই আসল। সেটা বেশি রানের ম্যাচেও হতে পারে। আবার কম রানের ম্যাচেও হতে পারে। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বা এক দিনের ম্যাচ, সেটা বেশি রানের হোক বা কম রানের, যত ক্ষণ সেই ম্যাচে লড়াই আছে সেটা সবার ভাল লাগে। মাঠে নেমে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। লখনউয়ে সেটাই হয়েছে। তাই আমার পিচ নিয়ে কিছু মনে হয়নি।’’
লখনউয়ে কোনও রকমে ম্যাচ জেতার পরে পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই রকম উইকেট আমাদের কাছে একটা ধাক্কা। আমাদের আরও ভাল উইকেট রয়েছে। খেলা যাতে ভাল উইকেটে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই রকম উইকেটে ১২০ রান তুললেই জেতা সম্ভব।’’ একই কথা শোনা গিয়েছিল ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মামব্রের গলাতেও। কেন পিচ ও রকম হয়েছে তার দায় পিচ প্রস্তুতকারকের উপর চাপিয়েছিলেন তিনি। মামব্রে বলেছিলেন, ‘‘পিচ খারাপ হওয়ার জন্য দল দায়ী নয়। দল কোনও রকম নির্দেশ দেয়নি। তাই পিচের দায় সম্পূর্ণ ভাবে পিচ প্রস্তুতকারকের। তিনিই বলতে পারবেন কেন এ রকম পিচ হল।’’ তাঁদের ঠিক উল্টো কথা শোনা গেল সূর্যের গলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy