রবিচন্দ্রন অশ্বিন। — ফাইল চিত্র।
বুধবার ব্রিসবেন টেস্টের শেষ দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ম্যাচ শেষে রোহিত শর্মার সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এসে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কোনও ইচ্ছাই ছিল না অশ্বিনের। সেই মনোভাব সিরিজ় শুরুর আগেই রোহিতকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে শুধু অ্যাডিলেডে খেলেছেন অশ্বিন। তাঁর অবসরের পরে প্রকাশ্যে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের পরেই অশ্বিনের মাথায় অবসরের ভাবনা ঘুরছিল। ২০১২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ়ে অপরাজিত ছিল ভারত। নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে তারা চুনকাম হয়।
তার পরে অশ্বিন দল পরিচালন সমিতিকে সাফ জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা নিশ্চিত না থাকলে তিনি যেতে চান না। যদি তাঁকে দলে না নেওয়া হয় তা হলে তিনি তখনই অবসর নেবেন। রোহিতকে অশ্বিন বলেছিলেন, “যদি সিরিজ়ে আমার কোনও প্রয়োজন না থেকে থাকে, তা হলে এখনই খেলাকে বিদায় জানাতে আমি তৈরি।”
অশ্বিনকে দলে নেওয়া হয়। তবে পার্থ টেস্টে জায়গা পাননি। তখনই অবসর নিতে চেয়েছিলেন। রোহিত বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করান। অ্যাডিলেডে সুযোগ পেলেও ব্রিসবেনে আবার বাদ পড়েন অশ্বিন। তখনই খেলা ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেন। এটাও জানা গিয়েছে, সিডনির পিচ স্পিনারদের সহায়তা করলেও সেখানে অশ্বিনের খেলা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না।
বৃহস্পতিবার ভোরেই ব্রিসবেন ছেড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অশ্বিন। হাতে সময় না থাকায় অশ্বিনের জন্য আলাদা করে কোনও নৈশভোজ বা বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা যায়নি। তবে দলের এক সূত্র বলেছেন, “যাওয়ার আগে প্রত্যেকে ওকে নিয়ে ভাল কথা বলেছে। বিদায়ের মুহূর্তে আবেগ দেখা গিয়েছে সকলের মধ্যেই। সময়ের অভাবে দলের তরফে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়নি।”
বুধবার অশ্বিন-প্রসঙ্গে রোহিত বলেছিলেন, “পার্থে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েই আমি অশ্বিনের অবসরের কথা জানতে পারি। ও জানত, দলের পরিকল্পনা কী, প্রথম একাদশে কাদের খেলানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। ওর বক্তব্য ছিল, ‘যদি আমাকে দরকার না-হয় তা হলে সরে যাওয়াই ভাল।’ কিন্তু আমি জানতাম অ্যাডিলেডে আমাদের ওকে দরকার। তাই আমি ওকে গোলাপি বলের টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম।”
যদিও সিরিজ়ের মাঝপথে অশ্বিনের অবসরের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি সুনীল গাওস্কর। তিনি বলেছিলেন, “অশ্বিন বলতে পারত যে, এই সিরিজ়ের পর আর ভারতের হয়ে খেলব না। ২০১৪-১৫ মরসুমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এই রকম করেছিল। তৃতীয় টেস্টের পর অবসর নিয়েছিল। সিরিজ়ের মাঝখানে সরে দাঁড়ালে দলে এক জন ক্রিকেটার কমে যায়। নির্বাচকেরা তো সফরে একটা পরিকল্পনা করে দল পাঠিয়েছেন। কেউ চোট পেলে রিজার্ভ থেকে কাউকে দলে নেওয়া যায়। সিডনিতে স্পিনারেরা সাহায্য পায়। সেখানে ভারত দু’জন স্পিনার খেলানোর কথা ভাবতেই পারে। সেখানে অশ্বিন খেলার সুযোগ পেতেই পারত। জানি না যদিও মেলবোর্নের পিচ কেমন হবে। কিন্তু সিরিজ়ের শেষে অবসর নেয় ক্রিকেটারেরা। সিরিজ়ের মাঝে অবসর নেওয়াটা সচরাচর দেখা যায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy