এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজর কেড়েছেন লোকেশ রাহুল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের ভূমিকাও সামলাতে হয়েছে তাঁকে। দুই ভূমিকাতেই দলের অধিনায়ক ও কোচের প্রশংসা পেয়েছেন রাহুল। প্রতিযোগিতা জিতে সঞ্জনা গণেশনের একটি প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে যান রাহুল। জবাবে কী বলেন তিনি?
ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠেই রাহুলের সাক্ষাৎকার নেন সঞ্জনা। সঞ্চালনা করার পাশাপাশি সঞ্জনার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার জসপ্রীত বুমরাহের স্ত্রী। সঞ্জনা রাহুলকে প্রশ্ন করেন, ভারতের চার স্পিনারের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে কতটা মজা হত? এই মজার কথা শুনেই অবাক হয়ে যান রাহুল।
জবাবে ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, “একেবারেই মজার ব্যাপার নয় সঞ্জনা। ওরা প্রত্যেকে দুর্দান্ত স্পিনার। দুবাইয়ের উইকেটে ওরা সাহায্য পাচ্ছিল। ফলে ওরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। প্রতিটা ম্যাচে ওরা বল করার সময় আমাকে ২০০ থেকে ২৫০ স্কোয়াট করতে হত। সেটা মোটেই মজার নয়।” রাহুলের জবাব থেকে স্পষ্ট, স্পিনারদের বিরুদ্ধে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। তাতে একটুও মজা হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন:
তবে ভারতের হয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ও ফিনিশারের ভূমিকায় আনন্দ পেয়েছেন রাহুল। সঞ্জনাকে সেটা বলেছেন তিনি। রাহুল বলেন, “গত এক বছর ধরে এই চেষ্টাই করেছি। দলের হয়ে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে আমি তৈরি। তবে এখন আমার লক্ষ্য থাকে কী ভাবে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেটাই হয়েছে। এমন সময়ে নেমেছি, যখন আমার স্বাভাবিক খেলা খেলতে পেরেছি। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল। দল আমার উপর ভরসা রেখেছে। সেই ভরসার দাম দিতে পেরে খুশি।”
কেরিয়ারে প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতেছেন তিনি। তাই এই জয়ের আনন্দ আলাদা। সেই অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি বলেন, “আমি জানি না এর থেকে ভাল কোনও অনুভূতি রয়েছে কি না। কয়েক মাস আগে একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দলকে চ্যাম্পিয়ন করা। ঈশ্বর আমাকে সেই পরিস্থিতিতে ফেলেছেন, যেখান থেকে আমি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছি। পরিশ্রম করেছি। তার ফল পাচ্ছি। প্রত্যেক ক্রিকেটার কেরিয়ারে অন্তত একটা আইসিসি ট্রফি জিততে চায়। আমিও চাইতাম। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”