এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আউট হয়ে ফিরছেন বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই
প্রথম ১০ ওভারে ছবিটা অন্য রকম ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানের মতো শ্রীলঙ্কার কপালেও দুর্ভোগ আছে। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল শুরুটা যেমন করেছিলেন তাতে আরও এক বার ৩০০-র বেশি রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু দুনিথ ওয়েল্লালাগে বল হাতে নেওয়ার পরেই ছবিটা বদলে গেল। হঠাৎ করে যেন পিচটাই বদলে গেল। বল ঘুরতে শুরু করল। পিচে পড়ে থমকালো। আর তাতেই খতম ভারতীয় ব্যাটারদের জারিজুরি। বেরিয়ে এল ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারা। কোনও ব্যাটার দাঁড়াতে পারলেন না স্পিনারদের সামনে।
প্রথম ১০ ওভারে পিটিয়ে খেলছিলেন রোহিত ও শুভমন। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত। ১০ ওভারের মধ্যেই নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পেসারদের খেলতে কোনও সমস্যাই হচ্ছিল না ভারতীয় ব্যাটারদের। হাত খুলে খেলছিলেন তাঁরা। তখনই স্পিনারদের দিকে তাকান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। বল তুলে দেন ওয়েল্লালাগের হাতে। ওয়েল্লালাগে শুরুটা করেন শুভমনকে দিয়ে। বাঁ হাতি স্পিনারের বল মিডল স্টাম্পে পড়ে বাঁক খায়। শুভমন ভুল লাইনে খেলেন। তিনি ভাবতেই পারেননি বল অতটা ঘুরবে। অফ স্টাম্পে গিয়ে বল লাগে। ১৯ রানে ফেরেন শুভমন। দু’ওভার পরেই ওয়েল্লালাগের শিকার বিরাট কোহলি। বল পিচে পড়ে একটু থমকে এল। বিরাট টাইমিং করতে পারলেন না। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মাত্র ৩ রানে।
ভারতকে ওয়েল্লালাগে সব থেকে বড় ধাক্কা দিলেন ১৬তম ওভারে। ৫৩ রান করে খেলা রোহিতকে বোল্ড করলেন তিনি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য রোহিতের ভাগ্য খানিকটা দায়ী। বলে পড়ে অনেকটা নিচু হল। রোহিত ব্যাট নামানোর আগেই উইকেট ভেঙে গেল।
তিন উইকেট পড়ার পরে কিছুটা জুটি বেঁধেছিলেন ঈশান কিশন ও লোকেশ রাহুল। ৬৫ রান যোগ করেন তাঁরা। যদিও রানের গতি খুব ধীরে ছিল। ভারতের দুই ব্যাটার ২৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু ৩০তম ওভারে আবার কামাল করলেন ওয়েল্লালাগে। রাহুলকে ৩৯ রানের মাথায় ফেরান তিনি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরেন স্পিনার।
ওয়েল্লালাগের বোলিং দেখে একের পর এক স্পিনারকে আক্রমণে নিয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক শনাকা। মাহেশ থিকশানা, ধনঞ্জয় ডি’সিলভাদের পাশাপাশি চরিথ আসালঙ্কের হাতেও বল তুলে দেন তিনি। পার্ট টাইম স্পিনার আসালঙ্কও সমস্যায় ফেললেন ভারতীয় ব্যাটারদের। ৩৩ রানের মাথায় ঈশানকে আউট করেন তিনি। স্পেলের শেষ বলে হার্দিক পাণ্ড্যকে আউট করে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন ওয়েল্লালাগে। ১০ ওবারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি।
ভারতের নীচের দিকের ব্যাটারদের আউট করার দায়িত্ব নেন আসালঙ্ক। রোহিতদের শেষ আশা রবীন্দ্র জাডেজাকে ফেরান তিনি। পর পর দু’বলে আউট করেন যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদবকে। পিচ থেকে যে সাহায্য পাচ্ছিলেন তা ভাল ভাবে কাজে লাগান আসালঙ্ক। তাঁর বল যে ভাবে ঘুরছিল তাতে দেখে মনেই হচ্ছিল না যে তিনি পার্ট টাইম স্পিনার। এই ইনিংস দেখিয়ে দিল, ঘূর্ণি পিচে স্পিনারদের সামনে খুব একটা ভরসা দেখাতে পারছেন না ভারতীয় ব্যাটারেরা। এটা কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ভাল লক্ষণ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy