নতুন হার্দিকের খোঁজ চলছে? —ফাইল চিত্র
আরও এক জন হার্দিক পাণ্ড্যকে তৈরি রাখার ভাবনা রয়েছে ভারতীয় দলের? শার্দূল ঠাকুরের কথায় তেমনই ইঙ্গিত। তাঁর মতো বোলিং অলরাউন্ডারকে তিন ধরনের ক্রিকেটের জন্য তৈরি হতে বলেছেন রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়রা।
ভারত ‘এ’ দলের হয়ে বৃহস্পতিবার চার উইকেট নেন শার্দূল। তাঁর দাপটে প্রথম বেসরকারি এক দিনের ম্যাচে ১৬৭ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড ‘এ’। তাঁর সঙ্গে রোহিত, দ্রাবিড়ের কী কথা হয়েছে তা সেই ম্যাচের পর জানান শার্দূল। ভারতীয় অলরাউন্ডার তিন ধরনের ক্রিকেটে দেশের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু নিয়মিত সুযোগ পান না। শার্দূল বলেন, “আমার সঙ্গে রোহিত, দ্রাবিড়ের প্রথম যখন কথা হয়, তখন আমাকে তিন ধরনের ক্রিকেটের জন্য ভাবা হচ্ছে বলে জানায়। তিন ধরনের ক্রিকেটেই ওরা আমাকে দলে দেখতে চায়। তার পর থেকে একসঙ্গে বসে কখনও কথা হয়নি। বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত সকলেই। ভারতীয় দল একের পর এক সিরিজ খেলছে। মাঝে মাত্র চার-পাঁচ দিনের ব্যবধান। কেউই সময় পায়নি কথা বলার। ভরা মরসুম।”
হার্দিক সুস্থ হয়ে ফেরার পর থেকে শার্দূল সুযোগ পাচ্ছেন না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন শার্দূল। জিম্বাবোয়েতে হার্দিককে পাঠানো হয়নি। সেখানে খেলেন শার্দূল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এ বছর এজবাস্টন টেস্টে খেলেন তিনি। কিন্তু এশিয়া কাপ বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শার্দূলের কথা ভাবা হয়নি। হার্দিককেই প্রথম দলে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২৫টি টি-টোয়েন্টি, ২৪টি এক দিনের ম্যাচ এবং আটটি টেস্ট খেলেছেন শার্দূল। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শার্দূলের সংগ্রহ ৯৬টি উইকেট। সেই সঙ্গে ৫৪৭ রানও করেছেন তিনি। শার্দূল বলেন, “ভাল বল করছি। উইকেট নিচ্ছি। জিম্বাবোয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যে সিরিজ় খেলেছি তাতেও উইকেট নিয়েছি। তাই আশা করছি দেশের হয়ে আবার ডাক পাব।”
পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে দলীপ ট্রফি খেলার কথা ছিল শার্দূলের। কিন্তু চোট পেয়ে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ভারত ‘এ’ দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় তাঁকে এই নেওয়া হয়। লাল বল থেকে হঠাৎ সাদা বলের ক্রিকেটে শার্দূল। কী ভাবে এই পরিবর্তনগুলো করেন তিনি? শার্দূল বলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আসার পর থেকে ক্রিকেটাররা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এক ধরনের ক্রিকেট থেকে দ্রুত অন্য ধরনের ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে এটা আমাদের দায়িত্ব। শেষ কয়েক বছরে এই পরিবর্তনটা ঘনঘন হচ্ছে। আগের মতো প্রথমে লাল বল, তার পর এক দিনের ক্রিকেট, তার পর টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপার এখন নেই। সূচি অনুযায়ী যে কোনও সময় খেলতে হতে পারে। আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের যে কোনও সময় মাঠে নামার জন্য তৈরি থাকা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy