লড়াই: প্রথম একাদশে কে থাকবেন? রাহানে না শ্রেয়স? ফাইল চিত্র।
সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কি পাঁচ বোলারে খেলবে ভারত? সেই রণনীতিই ধরে রাখার ইঙ্গিত দিলেন সহ-অধিনায়ক কে এল রাহুল। তবে একই সঙ্গে তিনি এ-ও স্বীকার করে নিয়েছেন, ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ নম্বরে অজিঙ্ক রাহানে এবং শ্রেয়স আয়ারের মধ্যে এক জনকে বেছে নেওয়াটা কঠিন সিদ্ধান্ত হতে চলেছে।
সপ্তাহ খানেক ধরে সেঞ্চুরিয়নে অনুশীলন করছে ভারতীয় দল। রাহুল মনে করেন, এই সিরিজ়ে দারুণ ফল করতে হলে শুরুটা ভাল হওয়া খুবই প্রয়োজন। দল চার না পাঁচ বোলারে খেলবে, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ভার্চুয়াল সংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক দলই চায় টেস্ট ম্যাচ জিততে ২০টা উইকেট তুলতে। এই কৌশল আমরা আগেও প্রয়োগ করেছি। বিদেশে আমরা যে কটি টেস্ট খেলেছি, এই কৌশল কাজে এসেছে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘যখন দলে সে রকম মানের ক্রিকেটার থাকে, পাঁচ বোলারে খেললে ধকল সামলানোও কিছুটা সহজ হয়ে যায়। আমার মনে হয়, এই কৌশল আমরা কাজে লাগাতে পারি।’’
রাহুলের কথাতেই পরিষ্কার, প্রথম টেস্টের দলে চতুর্থ পেসার রাখা হবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাট হাতে দক্ষতার জন্য শার্দূল ঠাকুর এগিয়ে থাকবেন ইশান্ত শর্মার চেয়ে। যার অর্থ আবার আয়ার, রাহানে এবং হনুমা বিহারীর মধ্যে কোনও এক জনকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। কারণ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্থের দলে থাকা নিশ্চিত। ‘‘নিশ্চিত ভাবে এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। অজিঙ্ক টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অনেক ভাল ইনিংস খেলেছে খেলোয়াড়জীবনে,’’ বলেন রাহুল। আরও যোগ করেন, ‘‘গত ১৫ থেকে ১৮ মাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ইনিংস খেলেছে অজিঙ্ক। লর্ডসে পুজারার সঙ্গে ওর জুটি গড়াটা আমাদের টেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছিল। অবশ্যই শ্রেয়স সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে। দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছে কানপুরে। হনুমাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে। তাই এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া খুব কঠিন।’’
সেঞ্চুরিয়নের পিচ নিয়েও কথা বলেন রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলার ডুঅ্যান অলিভার মনে করেন সুপার স্পোর্ট পার্কের পিচ প্রথম দিকে ধীর গতির থাকে। যত খেলা গড়াবে, পিচ তত দ্রুত গতির হতে থাকলেও শেষের দিকে আবার তা হ্রাস পায়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় অলিভার আমাদের থেকে এখানকার পরিবেশ অনেক ভাল জানে। এটা ঠিক, শেষ যখন আমরা এখানে খেলেছিলাম, প্রথম দিকে পিচ কিছুটা ধীর গতির ছিল। তার পরে আবার গতি বাড়লেও শেষের দিকে আবার গতি কমে যায়।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। চেষ্টা করেছি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে।’’
রাহুল মেনে নেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গতি এবং বাউন্স অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আলাদা। বলেছেন, ‘‘অন্য দেশের চেয়ে এখানকার পিচের গতি এবং বাউন্স আলাদা। তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করেছি আমরা। অস্ট্রেলিয়ায় পিচ দ্রুত গতির এবং ভাল বাউন্সও থাকে। আমরা অনেকগুলো সেশনে অনুশীলন করেছি। পরিবেশ অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার
চেষ্টা করা হয়েছে।’’রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে টেস্ট দলের নতুন সহ-অধিনায়ক হওয়ার পরে অভিজ্ঞতা কেমন? রাহুল বলেছেন, কিছুই পাল্টায়নি। ‘‘ওপেনার হিসেবে আমি দায়িত্ব সামলানোর ব্যাপারটা সব সময়ই উপভোগ করেছি। আমাদের দায়িত্ব দলের জন্য শুরুটা ভাল করা। এখন হয়তো অধিনায়কের সঙ্গে কৌশল ঠিক করার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা জড়িত থাকব। হয়তো বিরাটের চাপ কিছুটা কমানোর দিকটা দেখব,’’ বলেন রাহুল। তাঁর কাছে সফল হওয়ার মন্ত্র হল বেশি চিম্তা না করে সহজ ভাবে সবকিছু দেখা। ‘‘আমি খুব বেশি ভাবি না বা চাপে না পড়ার চেষ্টা করি। ইংল্যান্ডে ভাল খেলেছি বলে এখানেও আমাকে সে রকম করতেই হবে, বা না খেলতে পারলে কী হবে, এ সব মাথায় রাখি না,’’ বলেছেন রাহুল। বরং তিনি পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার কথাই ভাবছেন। বলেন, ‘‘সেরা প্রস্তুতি নিয়ে একটা সুযোগ নিতে চাই। প্রস্তুতির দিক থেকে আমি সন্তুষ্ট। শুধু আমিই নই, সবাই অনুশীলনে ডুবে ছিল। চেষ্টা করব ইংল্যান্ডের মতো ছন্দে থাকতে এবং দলের জন্য শুরুটা ভাল করতে। আশা করি সেটা পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy