অর্ধশতরান সূর্যকুমারের ছবি টুইটার
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল ভারত। তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিল সাত উইকেটে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে। জবাবে সূর্যকুমার যাদবের দাপুটে অর্ধশতরানে ভর করে জেতে ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সম্ভবত এটাই ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। ভিসা সমস্যা মিটে গেলে সিরিজের বাকি দু’টি ম্যাচ হওয়ার কথা আমেরিকার ফ্লোরিডায়। শনিবার এবং রবিবার সেই দু’টি ম্যাচ হবে।
বুধবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে। মঙ্গলবারের ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং। বুধবার সেই দায়িত্ব নেন কাইল মেয়ার্স। ২০ বলে ২০ রান করে কিং আউট হলেও এক দিক থেকে ভারতীয় বোলারদের শাসন করছিলেন মেয়ার্স।
কিং ফেরার পর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। বুধবারও দিনটা ভাল গেল না আবেশ খানের। তাঁর উপরেই বেশি নির্দয় হন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। তিন ওভারে ৪৭ রান খেলেন আবেশ। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো বোলারও ওভার পিছু নয়ের কাছাকাছি রান দিলেন। একমাত্র নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে দেখা গেল হার্দিক পাণ্ড্যকে। চার ওভারে মাত্র ১৯ দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। কিংকে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তিনিই।
আটটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে মেয়ার্স ৫০ বলে ৭৩ রান করে আউট হন। পুরান (২২), রভমান পাওয়েল (২৩), শিমরন হেটমায়ার (২০) প্রত্যেকেই ভাল ব্যাট করেছেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান অধিনায়ক রোহিত। আলজারি জোসেফের বলে ছয় এবং চার মেরে শুরুটা ভালই করেন। তবে লেগের দিকে একটি শট মারতে গিয়ে কোমরের পেশিতে টান ধরে তাঁর।
তিনে নামেন শ্রেয়স। তাঁর এবং সূর্যকুমারের জুটি ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়। শ্রেয়স এক দিক ধরে খেলেন। উল্টো দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের আক্রমণ করতে থাকেন সূর্য। দু’জনের জুটিতে ৮৫ রান উঠে যায়। আকিল হোসেনের বলের লাইন বুঝতে না পেরে স্টাম্পড হন শ্রেয়স (২৪)।
সূর্যকে অবশ্য থামানো যাচ্ছিল না। এক সময় মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় শতরান হয়ে যাবে তাঁর। তবে ডোমিনিক ড্রেকসের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। ডিপ ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন আলজারি জোসেফ। কিছু ক্ষণ পরে ফিরে যান হার্দিকও (৪)।
তত ক্ষণে ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যে টুকু রান বাকি ছিল, পন্থ (অপরাজিত ৩৩) একাই তুলে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy