কোহলীর সামনে বিপদের ইঙ্গিত ফাইল ছবি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচের আগেই বিরাট কোহলীর ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা জানিয়েছিলেন, তিন নম্বরে তাঁর ছাত্রের জায়গা কেড়ে নেওয়ার মতো ব্যাটার শ্রেয়স আয়ার নন। তবে রবিবারের ম্যাচে আরও একটি অর্ধশতরান করে শ্রেয়স নিজেই ইঙ্গিত দিলেন, তিন নম্বরে খেলতে তাঁর ভালই লাগছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরও ভাল খেলতে পারেন।
কোহলীর অনুপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনে ব্যাট করেছেন শ্রেয়স। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই পজিশনে ব্যাট করতে দারুণ লাগে। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে যেতে হয়। শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে আগে নামতে হয় এবং নতুন বলের বিরুদ্ধে খেলে ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। অন্য দিকে, ওপেনিং জুটি ভাল হলে সেই ছন্দ টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও আপনার উপরে এসে পড়তে পারে। তাই তিন নম্বরে ব্যাটিং করা বেশ মজার ব্যাপার। আমি খুবই উপভোগ করছি।”
পর পর দু’টি ম্যাচে অর্ধশতরান করার পর শ্রেয়স এ বার চাইছেন, নিয়মরক্ষার তৃতীয় ম্যাচে শতরান করতে। বলেছেন, “যে ভাবে আজ রান করেছি তাতে খুশি। তবে নিজের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে খুশি নই। সহজেই দলকে জেতানো উচিত ছিল। বড় রানের দিকে এগোচ্ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত উইকেট হারালাম। আশা করি পরের ম্যাচে শতরান করতে পারব।”
ইংল্যান্ড সফরে শর্ট বলে দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা হলেও ক্যারিবিয়ান সফরে অন্য শ্রেয়সকে দেখা যাচ্ছে। কী ভাবে পরিবর্তন সম্ভব হল? শ্রেয়স বলেছেন, “কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত জোর দিচ্ছি। কারণ প্রতি মুহূর্তে উইকেট এবং পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। পরের পর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। তাই নিজেকে ফিট রেখে যেগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”
সাফল্যের পিছনে ধন্যবাদ দিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও। বলেছেন, “সত্যি বলতে, বেশ মজা লাগছে এই দলে খেলতে। এক সময় দেখছিলাম রাহুল স্যর চিন্তায় পড়ে গিয়ে বার বার বার্তা পাঠাচ্ছিলেন। তবে চাপের মুহূর্তেও সতীর্থরা শান্ত ছিল। সেটাই আমাদের জয় এনে দিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy