আইপিএল থেকে যে সব ক্রিকেটার উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন জিতেশ। ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। টি-টোয়েন্টি সিরিজ় থেকেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয়েছে জিতেশ শর্মাকে। অচেনা এই ক্রিকেটারের নাম দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, কে এই জিতেশ? হার্দিক পাণ্ড্যের নতুন চেহারার টি-টোয়েন্টি দলে তিনিও কি একজন উঠতি প্রতিভা?
আইপিএল থেকে যে সব ক্রিকেটার উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন জিতেশ। গত মরসুমে পঞ্জাব কিংসের হয়ে ভাল খেলার কারণেই জাতীয় দলে সুযোগ মিলেছে তাঁর। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও সে রকম উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পেতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও কম।
২০১৭-য় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে ছিলেন জিতেশ। তার আগের বছর মুম্বই তাঁকে কেনে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে। কিন্তু ২০১৭-য় মুম্বইয়ের হয়ে একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি জিতেশ। পরে মুম্বই তাঁকে ছেড়ে দেয়। বেশ কয়েক বছর আইপিএলে সুযোগ পাননি জিতেশ। ২০২২-এর মেগা নিলামে তাঁকে কেনে পঞ্জাব কিংস। গত মরসুমের আইপিএলে পঞ্জাবের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১৭ বলে ২৬ করেন।
সেখান থেকেই আইপিএলে ছাপ ফেলা শুরু। পঞ্জাবের হয়ে গত মরসুমে ১২টি ম্যাচে খেলেছেন। তার মধ্যে ১০টি ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধ ৩৪ বলে ৪৪ রানই তাঁর সর্বোচ্চ। মাঝের সারিতে নেমে চালিয়ে খেলার কারণেই বিখ্যাত তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে জিতেশ খেলেন বিদর্ভের হয়ে। ২০১২-১৩ কুচবিহার ট্রফিতে ভাল খেলে তিনি প্রথম নজরে আসেন। তাঁকে বিদর্ভের সিনিয়র দলে সুযোগ দেওয়া হয়। কুচবিহার ট্রফিতে ১২টি ইনিংসে ৫৩৭ রান করেন জিতেশ। এর পর ২০১৪-য় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সেই মরসুমেই বিজয় হজারে ট্রফিতে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি বিদর্ভের রাজ্য দলে অন্যতম স্তম্ভ। বেশির ভাগ সময়েই উপরের দিকে খেলেন।
২০১৫-১৬ সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানশিকারিদের তালিকায় তিনে ছিলেন জিতেশ। ৩৪৩ রান করেছিলেন, যার মধ্যে একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান ছিল। তার পরেই মুম্বই কেনে এই ক্রিকেটারকে। কিন্তু আইপিএলে সুযোগই পাননি তখন। একই বছরে ২০১৫-১৬ মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয়। তবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
প্রথম বল থেকে চালিয়ে খেলতে পারেন জিতেশ। দরকারে উইকেটকিপিংও করতে পারেন। সাধারণত পাঁচে বা ছয়ে ব্যাটিং করতে পারেন তিনি। তবে পঞ্জাবের হয়ে ফিনিশ করাতেও জুড়ি নেই তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy