নেতৃত্বের শুরুর দিকে অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল হার্দিককে নিয়ে। কিন্তু অল্প দিনেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ফাইল ছবি
গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএলে জেতানোর পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হার্দিক পাণ্ড্যকে। কিছু দিনের মধ্যেই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলকে প্রথম বার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান। দেশের জার্সিতে নেতৃত্ব দিয়েও একের পর এক সিরিজ় জিতে চলেছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে অধিনায়ক হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন হার্দিক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জেতার পর যাবতীয় কৃতিত্ব দিলেন আশিস নেহরাকে, যিনি গুজরাতের কোচ।
নেতৃত্বের শুরুর দিকে অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল হার্দিককে নিয়ে। কিন্তু অল্প দিনেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজ় জেতার পর হার্দিক বলেছেন, “গুজরাতকে নেতৃত্ব দেওয়াই শুধু নয়, ওখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছি কোচের সঙ্গে কাজ করে। আশিস নেহরা আমার জীবনে বিরাট পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমার মানসিকতা বদলে গিয়েছে। হতে পারে আমরা আলাদা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ক্রিকেটীয় ভাবনাচিন্তায় আমরা দু’জনেই এক জায়গায়।”
হার্দিক আরও বলেছেন, “ওঁর সঙ্গে থাকার কারণে আমার নেতৃত্ব দিতে খুবই সুবিধা হয়েছে। নিজে যেগুলো জানতাম সেটা নিয়ে কোনও দিনই সন্দেহ ছিল না। আমার দরকার ছিল শুধু ভরসার। সেটা পাওয়ার পরে আর ভাবতে হয়নি। ক্রিকেট সম্পর্কে নেহরার জ্ঞানের ব্যাপারে আগেই জানতাম। আমি যা জানতাম সেটাকে সমর্থন করাই আসল ব্যাপার ছিল। আমাকে খুব সাহায্য করেছে ওটা।”
রোহিত শর্মা পরবর্তী যুগে হার্দিকই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ভারতের নেতা। সরকারি ঘোষণাটাই শুধু বাকি। তবে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা আগে কোনও দিনই যে ছিল না, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। হার্দিক বলেছেন, “জুনিয়র ক্রিকেটেও আমি সে ভাবে কোনও দিন দলকে নেতৃত্ব দিইনি। অনূর্ধ্ব-১৬য় এক বার বরোদার নেতা ছিলাম। তার পরে সবাই বলল ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে। তার পর থেকেই দলের সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে খেলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy