শাস্ত্রীই কি দায়ী ছিলেন ফাইল ছবি
গত বছর ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের পরেই দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড। ম্যাঞ্চেস্টারে পঞ্চম টেস্ট হয়নি। অসমাপ্ত সেই টেস্টই এখন হচ্ছে এজবাস্টনে। গত বছর টেস্ট বাতিলের জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল কোচ রবি শাস্ত্রীকে। তিনিই প্রথম কোভিডে আক্রান্ত হন। এখন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ইংল্যান্ডে রয়েছেন শাস্ত্রী। গত বছরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তবে মানতে চাননি যে তাঁর জন্যেই কোভিড ছড়িয়ে পড়েছিল।
একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে গিয়েই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন শাস্ত্রী। সেখানে তিনি মাস্কবিহীন ছিলেন। পরে কোভিড ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দলেই, যার জেরে সিরিজ বাতিল করতে হয়। শাস্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পরে ভয় পেয়েছিল গোটা দল। শাস্ত্রীর কথায়, “তখন অনেকেই বলেছিল মাঠে নেমে টেস্ট খেলতে। তবে অনেক ক্রিকেটারই পরিবারকে সঙ্গে এনেছিল। কোভিডকে নিয়ে এই সাহস তখন ছিল না। ম্যাচের মাঝে যে কারওর কোভিড হতে পারত। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হত। এখন মানুষ বুঝে গিয়েছে এটাকে নিয়েই চলতে হবে।”
শাস্ত্রীর সংযোজন, “তখন আয়োজকদের তরফে কোনও ইতিবাচক বার্তা আমরা পাইনি। ওরাও বুক ঠুকে বলতে পারছিল না যে মাঠে খেলতে নেমে পড়, তোমাদের ফ্লু হয়েছে। ওরা তখন যা করেছিল সেটা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।”
কেউ কেউ তখন বলেছিলেন রিজার্ভ দলকে নামিয়ে সিরিজ শেষ করার কথা। তবে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কোনও ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। শাস্ত্রী বলেছেন, “সাজঘরে আমি ছিলাম না। যদিও রিজার্ভদের দিয়ে টেস্ট খেলাতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নেওয়া কঠিন ছিল। যদি কেউ ম্যাচের মাঝেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়ত তা হলে সমস্যা তৈরি হত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy