সমালোচিত দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র
এজবাস্টন টেস্টে চতুর্থ দিন ভারতীয় দল যে ভাবে খেলল তাতে হারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যশপ্রীত বুমরাদের। এর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের দিকেই আঙুল তুলছেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচের মতে সেই কারণেই হারতে পারে ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। বিরাট কোহলীদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৫ রানে। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৩৭৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। চতুর্থ দিনের শেষে ২৫৯ রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। বাকি আর ১১৯ রান। শাস্ত্রী বলেন, “আমি হতাশ বললেও কম বলা হয়। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। দুটো সেশন ব্যাট করার দরকার ছিল। কিন্তু ভারতীয় দল খুব রক্ষণাত্মক ভাবে খেলেছে। মধ্যাহ্নভোজের পর ওদের খুব ভীতু মনে হচ্ছিল।”
শাস্ত্রী দায়িত্ব ছাড়ার পর ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেন রাহুল দ্রাবিড়। শাস্ত্রী বলেন, “উইকেট হারানোর পরেও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল ভারতের। ম্যাচ যে জায়গায় ছিল, সেখানে স্কোরবোর্ডে রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার মনে হল ওরা গুটিয়ে গেল। সেই কারণেই পর পর উইকেট হারাল ভারত। ইংল্যান্ড ব্যাট করার অনেক সময় পেয়ে গেল।”
গত বছর শাস্ত্রীর কোচিংয়ে খেলার সময়ই টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। সেই সিরিজেরই পঞ্চম ম্যাচ খেলছে ইংল্যান্ড। এজবাস্টন টেস্ট হেরে গেলে সিরিজও জিততে পারবে না ভারত।
যশপ্রীত বুমরার অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেন কেভিন পিটারসেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “বল যখন রিভার্স সুইং করছে, তখন ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ করে দেওয়া উচিত হয়নি। ব্যাটাররা বুঝতে চেষ্টা করছে বল কোন দিকে সুইং করবে। সেই সময় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল সুইং করলে খেলা মুশকিল। ব্যাটাররা সেই সময় নন-স্ট্রাইকার হিসাবে খেলতেই স্বস্তি পায়। সেটাই খুব সহজে করল ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। লং অন এবং লং অফে ফিল্ডার দাঁড় করানো ছিল। আধ ঘণ্টা এমন ফিল্ডিং সাজিয়ে রাখা পাগলামো। ওই ফিল্ডার ৩০ গজের মধ্যে রাখা উচিত ছিল। পারলে জনি বেয়ারস্টো মাথার উপর দিয়ে মারুক। আশা করব পঞ্চম দিন সকালে এমন কিছু করবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy