বিরাট কোহলিকে শান্ত করতে এগিয়ে আসেন আম্পায়ার। ছবি: পিটিআই
মাত্র ১ রান করে আউট বিরাট কোহলি। ২২ বল খেলেই শেষ মীরপুরে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস। মেহেদি হাসান মিরাজের বলের স্পিন বুঝতে পারেননি। ব্যাটে লেগে বল চলে যায় মোমিনুল হকের হাতে। হতভম্ব হয়ে যান বিরাট। প্রথমে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। বুঝতে পারছিলেন, তিনি সাজঘরে ফেরা মানে দল আরও বিপদে পড়ল। সেই সময়ই তাঁকে কিছু বলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রেগে যান বিরাট। শান্ত করেন শাকিব আল হাসান।
মীরপুরে তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৪৫/৪। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১০০ রান। বিরাট যখন আউট হন, তখন ভারতের ছিল ৩৭ রান। আলো কমে আসছিল। মীরপুর পিচে খেলাও কঠিন হচ্ছিল। কোহলির উইকেটের সেই সময় বাংলাদেশের কাছে বিরাট দাম। পেয়েও যান মেহেদিরা। হতাশ বিরাটকে কিছু বলেন তাঁরা। সেটা শুনে বিরাট বেরিয়ে যেতে গিয়েও ফিরে আসেন। তিনি যে রেগে গিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু কে তাঁকে কথা শুনিয়েছেন তা বোঝা যায়নি। বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব এগিয়ে আসেন বিরাটের কাছে। তাঁকে শান্ত হতে বলেন। বিরাট বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটারদের দিকে দেখিয়ে কিছু বলেন। আম্পায়াররাও চলে আসেন বিরাটের কাছে। ঝামেলা বড় হওয়ার আগেই বিরাট ফিরে যান সাজঘরের দিকে। শাকিবও দলের কাছে ফিরে গিয়ে ক্রিকেটারদের বোঝান।
প্রথম ইনিংসে ২৪ রান করেছিলেন বিরাট। তাস্কিন আহমেদের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খেলার রোগ সারছে না তাঁর। এ বার ঘূর্ণি পিচে স্পিন সামলাতে গিয়েও মুশকিল হল বিরাটের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে রকম ভাবে রান করছিলেন তিনি, সেটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে দেখা গেল না।
তৃতীয় দিনের শেষে বেশ চাপে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য মাত্র ১৪৫ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মীরপুরের পিচে সেই রানই এখন বড় মনে হচ্ছে ভারতীয় দলের। শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারাল ভারত। সাজঘরে লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল, চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। জয়ের জন্য আরও ১০০ রান প্রয়োজন ভারতের। বাংলাদেশের চাই ৬ উইকেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy