অস্ট্রেলিয়ার শিবিরের প্রস্তুতির খবর জেনে নিলেন অশ্বিন। ফাইল ছবি।
নাগপুরে নিজের নকলকে হাতের কাছে পেয়েই অস্ট্রেলিয়া শিবিরের হাঁড়ির খবর বের করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁকে সামলাতে স্টিভ স্মিথরা কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন, তা জেনে নিলেন মহেশ পিঠিয়ার কাছ থেকে।
প্যাট কামিন্সদের সব থেকে বড় ভয় অশ্বিন। ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনারকে সামলাতে বেঙ্গালুরুর কাছে আলুরের শিবিরে বিশেষ প্রস্ততি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। তাঁরা অনুশীলন করেছেন মহেশের বলে। বদোদরার স্পিনারকে বলা হয় অশ্বিনের ‘নকল’। সেই পিঠিয়া সফরকারীদের সঙ্গে এসেছেন নাগপুরেও। ভারতীয় দল আগে থেকেই রয়েছে নাগপুরে। মহেশের আদর্শ অশ্বিন। সামনে অশ্বিনকে দেখে তাঁকে প্রণাম করতে যান তরুণ স্পিনার। সুযোগ হাতছাড়া করেননি অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। অশ্বিন নিজের ভক্তের কাছ থেকে জেনে নেন, স্মিথদের কী ভাবে অনুশীলন করিয়েছেন তিনি। তাঁকে সামলাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন।
মহেশই জানিয়েছেন অশ্বিনের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা তরুণ স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমি প্রথম দিনই নেটে স্মিথকে পাঁচ-ছ’বার আউট করেছিলাম। আজ আমি নিজের আদর্শের কাছে আশীর্বাদ চাইতে গিয়েছিলাম। সব সময় চেয়েছি অশ্বিন ভাইয়ের মতো বল করতে। উনি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। উনি নেটে যাওয়ার সময় আমার সঙ্গে দেখা হয়। পা ছুঁয়ে প্রণাম করলাম এবং আশীর্বাদ চাইলাম। অশ্বিন ভাই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। জিজ্ঞেস করলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের আমি কেমন বল করেছি নেটে।’’
প্রতিপক্ষ শিবিরে থাকলেও ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যবহারে উচ্ছ্বসিত মহেশ। ২১ বছরের ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘বিরাট কোহলির সঙ্গেও দেখা হয়েছে। উনি আমাকে দেখে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানালেন। আমি সবে রঞ্জি ট্রফিতে বদোদরার হয়ে ক্রিকেটজীবন শুরু করেছি। আপাতত তাই শুধু লাল বলের ক্রিকেটে মনঃসংযোগ করতে চাইছি। আইপিএল এখন আমার ভাবনায় নেই।’’
অশ্বিন যা যা বল করেন, আপনি কি সেই সব ধরনের বল করতে পারেন? মহেশ বলেছেন, ‘‘আমি ক্যারম বল এবং দুসরা করতে পারি না। আমার প্রধান বল অফ স্পিন। আর একটা বল আছে, যেটা আমি নিজেই আবিষ্কার করেছি। তাতে বল একটু পিছনের দিকে স্পিন করে। দ্বিতীয় বলটা শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যবহার করি।’’
সফরকারী দলের ব্যাটারদেরই শুধু অনুশীলন করাননি মহেশ। পরামর্শ দিয়েছেন নাথান লায়নদেরও। মহেশ বলেছেন, ‘‘লায়ন আমার কাছে এসে বলের গ্রিপ দেখতে চান। জানতে চান কী ভাবে বল স্পিন করাই। তার পরে আমাকে শিখিয়েছেন, কী করলে আমি আরও বেশি বল ঘোরাতে পারব। দেখিয়ে দিয়েছেন, আমার সামনের পা কোথায় থাকা উচিত বল ছাড়ার সময়। নিজের দক্ষতার উপর আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন লায়ন।’’
দ্বিতীয় টেস্টের শুরু পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া শিবিরের সঙ্গে থাকবেন মহেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ছুটে দেবেন কামিন্সদের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি। এ নিয়ে মহেশ বলেছেন, ‘‘আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে গত কয়েক দিনে। অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে কাজটা ভীষণ উপভোগ করছি। আমার প্রধান কাজ হল নেটে স্মিথকে বল করা। স্মিথ আমাকে কখনও নির্দিষ্ট কোনও বল করার নির্দেশ দেয়নি। স্বাধীন ভাবে বল করতে পারছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy