অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। — ফাইল চিত্র।
আর ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা। রবিবার আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে নামছে ভারত। গ্রুপ পর্বে এই অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারালেও ফাইনাল সম্পূর্ণ অন্য লড়াই। টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়াও ভয়ঙ্কর মূর্তিতে রয়েছে। ৬ নম্বর বিশ্বকাপের জন্যে মরিয়া তারা। দলের অনেক ক্রিকেটারই দারুণ ছন্দে। অস্ট্রেলিয়ার কোন পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে, তা খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।
ডেভিড ওয়ার্নার: ভারতের মাটিতে দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটার। দীর্ঘ দিন ধরে আইপিএলে খেলছেন। চার বার আইপিএলে ৬০০-র উপর রান রয়েছে। ভারতের এমন কোনও মাঠ নেই যেখানে তিনি খেলেননি। আমদাবাদও অপরিচিত নয়। ঠিক যেমন চেনা ভারতের বোলারদেরও। সবাইকে আইপিএলে খেলেছেন। ফলে ওয়ার্নারকে আউট করতে গেলে বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁর। ভারতের তিন জোরে বোলারকে ফাঁদ পাততে হবে, যাতে কোনও ভাবে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ওয়ার্নার খোঁচা দেন। উইকেটকিপার বা স্লিপ ফিল্ডারেরা ক্যাচ নিতে পারলেই ফিরে যাবেন ওয়ার্নার।
স্টিভ স্মিথ: ওয়ার্নারের মতোই আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটার। নিজের দিনে তিনি একার হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাঁর শতরান ভারতকে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছিল। পরে আরও কয়েক বার ভারতের ঘাতক হয়ে উঠেছেন তিনি। ভারতীয় বোলার এবং পিচকে হাতের তালুর মতোই চেনেন। স্পিনটাও ভালই খেলতে পারেন। ফলে স্মিথকে আউট করা ভারতীয়দের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ফিল্ডিং যেমন ঠিক করে সাজাতে হবে, তেমনই বোলিংও নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরাদের। অপেক্ষা করতে হবে স্মিথের ভুলের।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর এক পায়ে ২০১ রানের ইনিংস এক দিনের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা হওয়ার দৌড়ে রয়েছে। বিশ্বকাপে দু’টি শতরান হয়ে গিয়েছে ম্যাক্সওয়েলের। তিনিও আইপিএলে খেলার সুবাদে ভালই চেনেন বোলারদের। তবে ম্যাক্সওয়েলের ক্ষেত্রে একটা সুবিধা হল, তিনি ওয়ার্নার বা স্মিথের মতো ভয়ঙ্কর নন। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলে ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নেওয়া কঠিন নয়। যেমন, বাঁহাতি স্পিনারদের খেলতে অসুবিধা হয়। আগের ম্যাচেও তাব্রেজ শামসির বলে বোল্ড হন। তার আগে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে তাঁর উইকেট নেন কেশব মহারাজ। ভারতের বিরুদ্ধে কুলদীপ যাদব তাঁকে বোল্ড করেন। ফাইনালেও কুলদীপ এবং রবীন্দ্র জাডেজা তুরুপের তাস হতে পারেন।
মিচেল স্টার্ক: বাঁহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের দুর্বলতার কথা কারও অজানা নয়। অতীতে এই স্টার্ক বহু বার ভুগিয়েছেন ভারতকে। বল পিচে পড়ার পর ভেতরে ঢুকে আসলে অস্বস্তিতে পড়তেই পারেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। স্টার্ক যদি এক বার ছন্দ পেয়ে যান তা হলে তাঁকে থামানো কঠিন। ইডেনের সেমিফাইনালেও সেটাই দেখা গিয়েছে। তবে একটা সুবিধা হল, সূর্যের আলোতে স্টার্ক এ বার কিছু করতে পারেননি। ভারত আগে ব্যাট করলে সুবিধা পেতে পারে। তা ছাড়া, সেমিফাইনালে ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনা করেছিলেন রোহিতেরা, সেটাও করতে পারেন। অর্থাৎ, শুরু থেকে আক্রমণ করে স্টার্কের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে।
অ্যাডাম জ়াম্পা: বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে জাম্পা। তাঁর সংগ্রহে ২২টি উইকেট। ভারতের সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা তাঁর নখদর্পণে। ভারতের ঘূর্ণি পিচে বল ঘোরাচ্ছেনও ভাল। আমদাবাদেও তাঁর বল ঘুরবে। তবে আশার কথা, ভারতের প্রায় সব ব্যাটারই স্পিনটা ভাল খেলেন। গ্রুপ পর্বে চেন্নাইয়ের মতো ঘূর্ণি পিচে ভারতের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি জাম্পা। তবে ফাইনালে নতুন কোনও অস্ত্র নিয়ে হাজির হতে পারে অসি স্পিনার। তাই রোহিতদের সতর্ক থাকতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy