রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র
মঙ্গলবার ঘোষিত হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচি। দেশ জুড়ে ন’টি মাঠে ন’টি ম্যাচ খেলবে রোহিত শর্মার ভারত। সেমিফাইনাল, ফাইনালে উঠলে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার যাত্রা করতে হবে তাঁদের। না হলে ৮,৪০০ কিলোমিটার। ২০১১-র পর আবার দেশের মাঠে খেলবে ভারত। এ বারও কি ট্রফি উঠবে? জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।
দেশের মাটিতে কেমন পিচে খেলবে ভারত তার উপর অনেক প্রশ্ন নির্ভর করছে। মূলত পাঁচটি ম্যাচ নিয়ে ভাবছে ভারত। প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও ভারতের চিন্তা পাকিস্তান, নিউ জ়িল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে। কোথায় কেমন পিচ পেতে পারে তারা?
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ চেন্নাইয়ে। এখন সেখানে নতুন ফ্লাডলাইট লাগানোর কাজ চলছে। মাঠ খুঁড়ে দু’টি লাল মাটির পিচ লাগানো হচ্ছে। ১৯৮৭ থেকে এই মাঠে ভারত ১৪টি ম্যাচ খেলেছে। অর্ধেক ম্যাচ জিতেছে। তবে এই মাঠে এখনও ৩০০-র বেশি রান ওঠেনি। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে হেরেছিল ভারত। অক্টোবরে ম্যাচ হওয়ায় শিশিসের প্রভাব থাকবে না। মনে করা হচ্ছে, শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে স্পিনের জালে বেঁধে ফেলতে পারে ভারত। তাই স্পিন সহায়ক পিচই আশা করা হচ্ছে।
১৫ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। অনেক জলঘোলার পর শেষ পর্যন্ত আমদাবাদেই ম্যাচ হচ্ছে। অতীতে এটি মোতেরা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ভারত এখানে খেলছে ১৯৮৪ সাল থেকে। ১৮টি ম্যাচের মধ্যে ১০টি জিতেছে। আউটফিল্ড বড় হওয়ায় বোলারদের সুবিধা হয়। তবে এই ম্যাচের জন্য ভারত কী পিচ নেবে সেটা নিয়ে রহস্য রয়েছে। সাধারণত স্পিনাররা এখানে সাহায্য পান। কিন্তু পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তাই এই ম্যাচের জন্যে পাটা উইকেট নিতে পারে ভারত। তাতে কোনও বোলারই সাহায্য পাবেন না। প্রচুর রানও উঠতে পারে।
এর পর ভারতের সামনে নিউ জ়িল্যান্ড। ২২ অক্টোবর ধরমশালায় ম্যাচ। এই ম্যাচ ভারতের কাছে বেশ কঠিন। কারণ ধরমশালার পরিবেশ নিউ জ়িল্যান্ডের বেশ পছন্দ হবে। তারা ঘরের মাঠেই খেলছে, এমন অনুভূতি হতে পারে। ধরমশালা ভারতের অন্যতম দ্রুতগতির পিচ। আর নিউ জ়িল্যান্ড দলে দ্রুতগতির বোলারের সংখ্যা কম নেই। ম্যাচ দুটোয় শুরু হওয়ায় রোদ থাকবে। কিন্তু যত সময় গড়াবে, তত পরিস্থিতি কঠিন হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩১৭ মিটার উঁচুতে এই স্টেডিয়াম। রোদ থাকলে অনায়াসে বোলারদের পেটানো যাবে। কিন্তু অন্ধকার নামলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খেলা কঠিন। ২০১৭ থেকে ভারত এই মাঠে এক দিনের ম্যাচ খেলেনি। ভারতের কাছে একটা রাস্তা খোলা থাকতে পারে। তারা হয়তো কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইবে। অর্থাৎ দ্রুতগতির পিচে দেখা যেতে পারে দু’দলের পেসারদের লড়াই।
লখনউয়ে ২৯ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। একানা স্টেডিয়ামেও নতুন করে পিচ বসানো হয়েছে। এই মাঠে এখনও পুরো ৫০ ওভারের কোনও ম্যাচ খেলেনি ভারত। ফলে অতীত অভিজ্ঞতা নেই। এর আগে এখানে আফগানিস্তান সিরিজ় খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে। মাত্র এক বার ২৫০ উঠেছে। কালো মাটির পিচ হওয়ায় স্পিনাররা সুবিধা পাবেন বেশি। পাশাপাশি শীতকালের শুরুর দিক হওয়ায় শিশির কতটা প্রভাব ফেলে সেটাও দেখতে হবে। পাটা উইকেটে ইংল্যান্ড ভয়ঙ্কর। তাই ভারত স্পিনের রাস্তাতেই হাঁটতে পারে।
কলকাতার ভারতের একমাত্র ম্যাচ ২৯ অক্টোবর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তির পর তারা প্রথম ম্যাচ খেলেছিল এখানেই। ভারত এখানে ২২টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১৩টি জিতেছে। সাম্প্রতিক কালে ১৪টি ম্যাচে মাত্র পাঁচ বার রান তাড়া করা দল জিতেছে। অতীতে স্পিনারদের সাহায্য করলেও এখন ইডেনের পিচ পেসাররা সাহায্য পান। শিশির অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। এই মাঠেও ভারতের পেসারদের ভূমিকা নিতে হবে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার দলেও ভাল মানের পেসাররা রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy