রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র।
ভারত ধর্মশালায় জেতার পরেই বোর্ড সচিব জয় শাহের টুইট ভেসে আসে। সেখানে দেশের টেস্ট খেলিয়ে ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা করে ‘ইনসেন্টিভ’-এর ঘোষণা করেন বোর্ড সচিব। ম্যাচের পর সেই ঘোষণাকে হালকা করে খোঁচা দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের কোচের মতে, এটা কোনও ইনসেন্টিভ নয়, বরং পুরস্কার হিসাবে দেখা উচিত।
দ্রাবিড় বলেছেন, “টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য কোনও ইনসেন্টিভের দরকার হয় না। তবে এত দিন পরে যে টেস্ট খেলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এটা দেখে ভাল লাগছে। টেস্ট খুবই কঠিন ফরম্যাট। বোর্ড বুঝতে পেরেছে এটা একটা পুরস্কার, কোনও ইনসেন্টিভ নয়।” এর পরেই দ্রাবিড় বলেছেন, “আমরা কখনও ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলাকে ১০০ টেস্ট খেলার সঙ্গে তুলনা করি না। তাই না?”
প্রসঙ্গত, ধর্মশালায় ভারত জেতার পরেই একটি পোস্টে জয় শাহ লেখেন, “পুরুষ দলের ক্রিকেটারদের জন্য ‘টেস্ট ক্রিকেট ইনসেন্টিভ স্কিম’ চালু করতে পেরে আমি খুশি। এতে আমাদের সম্মাননীয় ক্রীড়াবিদদের আর্থিক উন্নতি হবে। ২০২২-২৩ মরসুম থেকেই ‘টেস্ট ক্রিকেট ইনসেন্টিভ স্কিম’ চালু হতে চলেছে। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ম্যাচ পিছু যে ১৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়, তার বাইরে এই টাকা দেওয়া হবে।”
নিজের পোস্টের সঙ্গে একটি তালিকা দিয়েছেন জয়। ধরা যাক, এক মরসুমে ভারত ৯টি টেস্ট খেলবে। কোনও ক্রিকেটার যদি ৫০ শতাংশের কম, অর্থাৎ ৪টির কম টেস্ট খেলে থাকেন, তা হলে ‘ইনসেন্টিভ’ হিসাবে কোনও টাকা তিনি পাবেন না। কোনও ক্রিকেটার যদি ৫০ শতাংশের বেশি, অর্থাৎ ৫টি বা ৬টি টেস্ট খেলে থাকেন, তা হলে ‘ইনসেন্টিভ’ পাবেন। প্রথম একাদশে থাকলে ম্যাচ পিছু ৩০ লাখ টাকা এবং প্রথম একাদশে না থাকলে ম্যাচ পিছু ১৫ লাখ টাকা করে পাওয়া যাবে।
কোনও ক্রিকেটার যদি ৭৫ শতাংশের বেশি, অর্থাৎ ৯টির মধ্যে ৭টি বা তারও বেশি ম্যাচ খেলেন, তা হলে টাকার অঙ্ক অনেকটাই বাড়বে। সে ক্ষেত্রে প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটার ম্যাচ পিছু ৪৫ লাখ টাকা করে পাবেন। প্রথম একাদশে না থাকলে ম্যাচ পিছু ২২.৫ লাখ টাকা করে পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy