সফল: অঙ্গক্রিশ-হর্নুর ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১৬৪। ছবি: বিসিসিআই
ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে হঠাৎই কোভিডের হানায় আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেল ভারতীয় শিবিরে। এক সঙ্গে ছ’জন ক্রিকেটার ‘পজ়িটিভ’। তার মধ্যে অধিনায়ক যশ ধুলও রয়েছেন।
বুধবারেই যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের খেলা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখানে দল নামাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে যায় ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত নিশান্ত সিন্ধুর নেতৃত্বে দল তারা নামায় এবং আয়ারল্যান্ডকে ১৭৪ রানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের যাত্রা নিশ্চিত করে। যুব দল অসম সাহসী মনোভাব দেখিয়ে ৫০ ওভারে ৩০৭-৫ তোলে। দুই ওপেনার অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী (৭৯ বলে ৭৯) এবং হর্নুর সিংহ (১০১ বলে ৮৮) প্রথম উইকেটেই তুলে দেন ১৬৪। রান পেয়েছেন রাজ বাজওয়া (৬৪ বলে ৪২), নিশান্ত সিন্ধু (৩৪ বলে ৩৬)। শেষের দিকে রাজবর্ধন দ্রুতগতিতে ১৭ বলে ৩৯ করে দলকে তিনশো পার করিয়ে দেন। জবাবে ১৩৩ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড। দু’টি করে উইকেট নেন কৌশল তাম্বে, অনিশ্বর গৌতম ও গর্ব সাঙ্গওয়ান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজবর্ধন হঙ্গরগেকর, রবি কুমার, ও ভিকি ওস্টওয়াল।
শুধু অধিনায়ক যশ নন, সহ-অধিনায়ক শেখ রশিদও করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন। আরাধ্য যাদবের পরীক্ষার ফলও ‘পজ়িটিভ’ আসে বলে খবর। তার আগে বাসু বৎস, মানব পারেখ এবং সিদ্ধার্থ যাদবের ফলও ‘পজ়িটিভ’ আসে। রাতের দিকে ভারতীয় বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারচীয় দলের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ফলে কয়েক জনের ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ১৭ জনের দলে ৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে।’’ জানানো হয়েছে, বোর্ড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তবে ১৭ জনের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত মানে ভারতীয় দলের হাতে এই মুহূর্তে ঠিক ১১ জন ক্রিকেটার রয়েছে। তাঁদের সকলকে এ দিনের ম্যাচে নামাতে হয়েছে। এর পর আর কেউ সংক্রমিত হয়ে পড়লে কী হবে, তা দেখার।
বোর্ড বা আইসিসি থেকে প্রথমে কিছু জানানোই হয়নি। ধুলের জায়গায় সিন্ধু টস করতে যাচ্ছেন দেখে কৌতূহল তৈরি হয়। সেই সূত্র ধরে খবর বেরিয়ে পড়ে। গত ১৫ জানুয়ারি গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল। তার পরেই তাঁরা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো আসেন। বুধবার আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পরে গ্রুপের শেষ ম্যাচ রয়েছে ২২ জানুয়ারি উগান্ডার বিরুদ্ধে। বড়দের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেমন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হয়েছিল। উড়ানে করে যাত্রা করার ব্যাপার ছিল না। টিমবাসে করে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে পারছিল দলগুলি। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিভিন্ন কেন্দ্রে। এক শহর থেকে আর এক শহরে উড়ানে করে যেতে হচ্ছে বলে সংক্রমণের ভয় বেশি থাকছে। প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় স্রোত এবং ওমিক্রনের মধ্যে একটি বা দু’টি কেন্দ্রে খেলা আয়োজন করার কথা কেন ভাবল না আইসিসি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy