পৃথ্বী শ। ফাইল ছবি।
রান পেলেও রঞ্জি ট্রফিতে চেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছে না পৃথ্বী শকে। আক্রমণাত্মক ওপেনিং ব্যাটার পাঁচ ম্যাচে করেছেন তিনটি অর্ধশতরান। নেই কোনও শতরান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হয়নি। রঞ্জি ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে কি চেনা মেজাজে দেখা যাবে পৃথ্বীকে?
বীরেন্দ্র সহবাগের ভক্ত পৃথ্বী তাঁর আদর্শের মতোই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন। রানের মধ্যে থেকেও দলে সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ পৃথ্বী। মুম্বইয়ের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘তিনটে অর্ধশতরান করার পরেও আমাকে কেউ অভিনন্দন জানায়নি। মনে হয় এই রানটা আমার জন্য যথেষ্ট নয়। খারাপ তো লাগবেই। মাঝে মাঝে এরকম হয়। আমার দল অবশ্য ভাল খেলছে। আমি খুশি। অধিনায়ক হিসাবে দলের ২১ জন সদস্যের কথাই ভাবতে হয় আমাকে। কেবল নিজের কথা ভাবলে হয় না।’’
ভারতীয় দলে সুযোগ না পেলেও নিজের কাজ করে যেতে চান পৃথ্বী। তিনি বলেছেন, ‘‘জীবনের মতো ক্রিকেটেও উত্থান এবং পতন আছে। সব সময় ভাল হয় না। এগুলো কিছু সময়ের ব্যাপার। ব্যাটে-বলে ভাল সংযোগ হচ্ছে। যে কোনও দিন বড় রান পাব। আপাতত আমার লক্ষ্য ফাইনালে দলের ভাল পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা। দল ভালই খেলছে। আমরা উপভোগ করছি।’’
জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কী ভাবছেন? পৃথ্বী বলেছেন, ‘‘অবশ্যই ভারতীয় দলে ফিরতে চাই। সেটাই লক্ষ্য। কিন্তু এখন আমার প্রধান লক্ষ্য মুম্বইকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করা। তাতেই মন দিতে চাইছি।’’ ফাইনালের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না মুম্বই অধিনায়ক। রঞ্জি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে এখন ভাবতেও চাইছেন না। ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হারানো গর্ব ফিরিয়ে আনতে চান।
তাঁর সঙ্গে রিজভি স্প্রিংফিল্ড স্কুলে পড়তেন মুম্বই দলের আরও দুই সদস্য আরমান জাফর এবং সরফরাজ খান। মুম্বই অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘নয় বছর বয়স থেকে এক সঙ্গে খেলছি আমরা তিন জন। স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতা খেলেছি।’’ পৃথ্বী ২০১৭ সালের পর দ্বিতীয় বার রঞ্জি ফাইনাল খেলবেন। আরমান এবং সরফরাজ খেলবেন প্রথম বার। পৃথ্বী বলেছেন, ‘‘ফাইনালে সব সময় আলাদা চাপ থাকে। সেটা সামলেই আমাদের ভাল খেলতে হবে।’’
২০১৭ সালে মুম্বইয়ের কোচ ছিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। তিনিই এ বার থাকবেন মধ্যপ্রদেশের সাজঘরে। তা নিয়ে পৃথ্বী বলেছেন, ‘‘মনে হয় স্যরের সঙ্গে পাঁচ বছর পর দেখা হবে। ২০১৬-১৭ মরসুমের মতো নয় ব্যাপারটা। পণ্ডিত স্যর খুবই কড়া ধাঁচের মানুষ। সুযোগ পেলেই ওঁর সঙ্গে কথা বলব। উনি মধ্যপ্রদেশকেও ফাইনালে তুলেছেন। আমাদের অনেকের খেলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ফাইনালটা সহজ হবে না।’’
মুম্বই দলের কোচ অমল মুজুমদারও দলের পারফরম্যান্সে খুশি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ছেলেদের বলেছিলাম, তোমরা অনূর্ধ্ব ১৯ বা ২৫ পর্যায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছ। এখানেও না হওয়ার কোনও কারণ নেই। ফলাফলের জন্য চাপ দিতে চাই না ওদের। ছেলেদের খালি বলেছি, তোমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেল।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy