পিচ খতিয়ে দেখছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: পিটিআই
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে পিচ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে আইসিসিকে ই-মেল করে অভিযোগ করেছেন আইসিসির প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের পিচ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। বিতর্ক নিয়ে এ বার মুখ খুলল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার মতে, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।
আইসিসি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এই ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভাল হবে না তার কোনও কারণ নেই।’’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘কোন পিচে খেলা হবে সেই পিচ বেছে নেওয়া ও তার পর তা তৈরি করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থা ও সেই সংস্থার পিচ প্রস্তুতকারকের। এ ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার।’’
সেমিফাইনালের আগে ডেইলি মেলে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচের জন্য একটি অব্যবহৃত পিচ বেছে নিয়েছিলেন অ্যান্ডি। সেই পিচ বদলে একটি ব্যবহৃত পিচে খেলা হবে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথমে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে খেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা বদলে ৭ নম্বর পিচ করা হয়েছে। এই পিচে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছে। যে পিচে আগে খেলা হওয়ার কথা ছিল সেখানে ঘাস ছিল। কিন্তু এখন যে পিচে খেলা হওয়ার কথা সেটি খুব মন্থর। মূলত ভারতীয় বোলারদের সুবিধা করে দিতেই নতুন পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ডেইলি মেলের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পিচ বদলের কথা হোয়াটস্অ্যাপ করে জানানো হয়েছে অ্যন্ডিকে। সেখানে বলা হয়েছে, বিশেষ একটি কারণে ৬ নম্বর পিচের জায়গায় ৭ নম্বর পিচে খেলা হবে। কী কারণ, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এই রিপোর্টের পরেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্ক নিয়ে এ বার বিবৃতি দিল আইসিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy