থুতুর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। —ফাইল চিত্র
করোনার জন্য যে নিয়ম ছিল ‘সাময়িক’, সেটাই পাকাপাকি বন্দোবস্ত হয়ে গেল। বলে আর থুতু লাগানো যাবে না, জানিয়ে দিল আইসিসি। গত দু’বছর ধরে বলে থুতু লাগানো নিষেধ ছিল। করোনার জন্য এই নিয়ম এনেছিল আইসিসি। কিন্তু করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও আর থুতু লাগানোর নিয়ম ফিরিয়ে আনল না তারা।
থুতুর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই থুতুর ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল। এতে বোলারদের আপত্তিও ছিল। ব্যাটাররা বেশি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেছিলেন তারা। ভারতের পেসার যশপ্রীত বুমরা বলেছিলেন, “বল যদি ঠিক মতো পালিশ করা না যায়, তা হলে বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে যাবে। থুতু না হলে অন্য কিছু প্রয়োজন বল পালিশ করার জন্য। না হলে রিভার্স সুইং হারিয়ে যাবে।” একই মত ছিল অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্কের। তিনি বলেছিলেন, “ব্যাট এবং বলের লড়াইটা সমানে সমানে হওয়া উচিত। না হলে খেলা দেখাই বন্ধ করে দেবে মানুষ। পিচে যদি কোনও নড়াচড়া না থাকে তা হলে বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে যাবে। বোলাররা সুইং না পেলে লড়াইটাই মাটি।”
সচিন তেন্ডুলকরও বোলারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে থুতু লাগানোর প্রসঙ্গে। ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলেছিলেন, “থুতু লাগানো নিষেধ হলে বোলাররা পঙ্গু হয়ে যাবে। থুতুর পরিবর্তে কিছু একটা প্রয়োজন। সেটা নেই। ঘামের থেকেও বেশি জরুরি থুতু। ক্রিকেটে ঘাম এবং থুতু সব সময় ছিল। কিন্তু থুতু বেশি জরুরি।” আশিস নেহরা বলেছিলেন, “থুতু লাগাতে না দেওয়া বোলারদের খুব দুর্বল করে দেওয়ার সমান।” থুতু লাগানো বন্ধ হওয়ার পর থেকে ঘাম লাগিয়েই বল পালিশ করেন বোলাররা। গত দু’বছর ধরে তাই করতে হচ্ছে বোলারদের। ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ভুল করে বলে থুতু লাগিয়ে ফেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের শাস্তি হয়। পাঁচ রান পেনাল্টি হয় তাদের।
সেই থুতু পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল। গত দু’বছরে বোলাররা অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন থুতু ছাড়া বল করতে। কিন্তু থুতু লাগানো একেবারে বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাটারদের সুবিধা হল বলেই মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy