(বাঁদিকে) বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
রবি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার সময় অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ধোনির সঙ্গে এক মাস কাজ করেই নতুন কাউকে অধিনায়ক করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গেও। শাস্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
শাস্ত্রী কোচ থাকার সময়ই ভারতীয় দলের নেতৃত্বে পালাবদল হয়েছিল। সেই পালাবদলের অন্যতম মাথা ছিলেন শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘দলে একাধিক দারুণ খেলোয়াড় ছিল তখন। আমি চেয়েছিলাম ব্যক্তিগত দক্ষতাকে দলগত দক্ষতায় পরিবর্তন করতে। আমি সব সময় জিততে চাই। টেস্ট ক্রিকেটকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতাম। সে সময় বিরাট কোহলির মধ্যে একটা না কাটা হিরে দেখতে পেয়েছিলাম। তখন আমার অধিনায়ক ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু আমার নজর থাকত কোহলির দিকে। কোচ হিসাবে দ্বিতীয় মাসের শুরুতেই কোহলিকে বলে দিয়েছিলাম, ‘আমি কিছুটা সময় নেব। সব কিছু দেখব। তুমি নেতৃত্বের জন্য তৈরি হও।’’’
কেন কোহলিকে অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন? শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘কোহলি শুধু টেস্ট নিয়েই ভাবত তখন। টেস্ট নিয়ে প্রচণ্ড আবেগ ছিল ওর মধ্যে। কঠিন পরিশ্রম করত। নিজেকে কঠিন ক্রিকেটের জন্য তৈরি রাখত। ওর এই বিষয়টা আমার ক্রিকেট ভাবনার সঙ্গে দারুণ মিলত। অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তানের মাটিতে খেলা হলে অভিযোগ করার বা অজুহাত দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকে না। আগের অধিনায়কদের মতো শক্তিশালী জোরে বোলিং আক্রমণ গড়ে তোলার কথা ভাবত কোহলি। তার ঐতিহাসিক ফল আমরা পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ায় পর পর টেস্ট সিরিজ় জিতেছিলাম আমরা। ইংল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ টেস্টের সিরিজ় ড্র করেছিলাম।’’
শাস্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর লক্ষ্য ছিল টেস্ট ক্রিকেটকে উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়া। তাই ক্রিকেটারদে কঠিন থেকে কঠিনতর অনুশীলন করাতে চাইতেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোহলি সবার আগে চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি হয়েছিল। ওকে দেখে মনে হয়েছিল, যে কোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। ওকে দেখে আমারও মনোভাব পরিবর্তন হয়েছিল।’’
কোহলির মতোই শাস্ত্রীর আর এক প্রিয় ক্রিকেটার যশপ্রীত বুমরা। তাঁর সময়েই ভারতীয় দলে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন জোরে বোলার। তা নিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘ওকে প্রথম বার ডাকার কথা এখনও মনে রয়েছে। কলকাতায় প্রথম কথা হয়েছিল। জানতে চেয়েছিলাম, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী কি না। ও বলেছিল, যে দিন প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে, সেটাই হবে ওর জীবনের সব থেকে বড় দিন। তার আগে ওকে সবাই সাদা বলের ক্রিকেটার ভাবত। তেমন ধারণাই তৈরি হয়েছিল ওর সঙ্গে। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, ওর মধ্যে খিদে কতটা। ওর উত্তর শুনে তৈরি থাকার কথা বলেছিলাম।’’
শাস্ত্রী খুশি কোহলি, বুমরাদের মতো ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আন্তরিকতায়। কারণ তাঁর মতে, সাদা বলের ক্রিকেটের সাফল্য পরবর্তী সময় কেউ মনে রাখে না। টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ড নিয়ে আলোচনা হয় সব সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy