রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
অধিনায়ক হিসাবে এক দিনের বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। দেশকে টেস্ট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও হারতে হয়েছে রোহিত শর্মার দলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় সাফল্য অধরা হলেও আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক রোহিত। কয়েক দিন পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে জানিয়ে দিলেন কী চান সতীর্থদের কাছ থেকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টেস্টের মধ্যে ১০ দিনের বিরতি থাকায় ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। শুক্রবার মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রোহিত। সেখানে নানা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর নেতৃত্বের প্রসঙ্গও ওঠে। তা নিয়েও সোজাসুজি উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, অধিনায়ক হিসাবে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসী রাখতে চান সব সময়। মাঠে সতীর্থদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকেও সম্মান করেন। সতীর্থদের উপর আস্থা রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে।
অধিনায়ক হিসাবে একা সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন না রোহিত। নিজের মত সতীর্থদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতীও নন। অধিনায়ক হিসাবে রণকৌশল তৈরির পাশাপাশি, দলকে পরিচালনা করতে হয় তাঁকে। এ নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘অধিনায়ক হিসাবে সব থেকে কঠিন হচ্ছে, আপনি যেটা চাইছেন ঠিক সেটাই দলের অন্যদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া। সকলের মানসিকতা আলাদা। সকলেই নিজের মতো খেলতে চায়। তাই দলে নতুন কেউ এলে তার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলি। কারণ ক্রিকেট দলগত খেলা। সবার এক রকম ভাবা প্রয়োজন। আমি খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দিতে পছন্দ করি। সকলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি। দলের সকলে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সতীর্থদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করা দরকার।’’
একটা বা দুটো ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে রাজি নন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। রোহিত বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারের ছয় বা সাত নম্বরে নেমে কেউ ১০ বল খেলতে পারে। এটা বড় নয়। তার ভূমিকাটাই আসল। আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়। সকলের আত্মবিশ্বাসী থাকা প্রয়োজন। দলের ১১ জন যাতে নিজেদের সেরাটা দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাই। কারণ ভাল ফলের জন্য দলের সকলের অবদান প্রয়োজন।’’
অধিনায়ক হিসাবে সতীর্থদের সঙ্গে কতটা মেশেন? রোহিত বলেছেন, ‘‘চেষ্টা করি সতীর্থদের ঘরে গিয়ে আলাদা করে কথা বলতে। কখনও কখনও ওদের নৈশভোজে নিয়ে যাই। অধিনায়ক নিজে এগিয়ে গিয়ে কথা না বললে বা সময় না দিলে দলের মধ্যে অস্বস্তির আবহ তৈরি হতে পারে। সেটা কখনও কাম্য নয়। তাই দলের সকলকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি। সকলকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
দল থেকে কাউকে বাদ পড়লে অধিনায়ক হিসাবে সেই খবর পৌঁছে দেন নিজেই। রোহিত চান সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া স্বচ্ছ রাখতে। তিনি বলেছেন, ‘‘কাউকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা হলেও আমার কিছু দায়িত্ব থাকে। বাদ পড়া ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস যাতে নষ্ট না হয়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। কাজটা কঠিন। তবু চেষ্টা করি যাতে ওরা ভাবে, অধিনায়ক পাশে আছে। দল যেটা তার কাছ থেকে চাইছে, সেটা করে দেখানোর কথা ভাবতে পারে।’’
রোহিত বোঝাতে চেয়েছেন, অধিনায়ক হিসাবে যে কোনও পরিস্থিতিতে সতীর্থদের পাশে থাকাকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন তিনি। তাঁর মতে, তা হলে সকলে দলের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy