রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
পর পর তিন বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ ভারতের সামনে। প্রথম দু’বার জিততে পারেনি। তৃতীয় বার ফাইনালে ওঠার সুযোগ পেলে ট্রফি জিততে চাইবেন রোহিত শর্মারা। ফাইনালে উঠতে গেলে কী করতে হবে ভারতকে?
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে ১১ ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৯৮ পয়েন্ট। ৭৪.২৪ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। শীর্ষে রয়েছে তারা। যদি ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ৩-০ ফলে জিততে পারে তা হলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা প্রায় পাকা হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে জয় এবং দু’টি ড্র করতে পারলেই লর্ডসের টিকিট পাকা হয়ে যাবে রোহিতদের। কিন্তু ভারত যদি শেষ আটটি টেস্টের মধ্যে চারটি জেতে, একটি ড্র করে এবং তিনটি হারে তা হলে রাস্তা কঠিন হবে ভারতের। কারণ সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সুযোগ থাকবে ভারতকে টপকে যাওয়ার।
টেস্টে ভারত এখন এক নম্বর দল। ঘরের মাঠে কিউইদের বিরুদ্ধে তারা এগিয়ে থেকেই নামবে। যে দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছে, ভারত যে তাদের আরও বেশি বেগ দেবে তা বলাই যায়। বেঙ্গালুরু, পুণে এবং মুম্বইয়ে হবে তিনটি টেস্ট। সেই ম্যাচগুলি জিততে চাইবে ভারত।
নিউ জ়িল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট রয়েছে ভারতের। পাঁচ ম্যাচের সেই সিরিজ় ঠিক করতে পারে কোন দল ফাইনালে খেলবে। ভারত সব ম্যাচ জিতলে তারা ৮৫.০৯ শতাংশ পয়েন্ট পাবে। আর কোনও দলের পক্ষেই সেই পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে ভারত ছাড়াও ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার।
শ্রীলঙ্কা
এখনও চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে শ্রীলঙ্কার। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে তারা। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই দেশে গিয়ে খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া খেলতে যাবে শ্রীলঙ্কায়। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুরো ২৪ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। তাই ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে তাদেরও। তবে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও ফাইনালে ওঠার দাবীদার। তাই কাজটা সহজ হবে না শ্রীলঙ্কার জন্য।
অস্ট্রেলিয়া
ভারত এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে হবে প্যাট কামিন্সদের। সেই সিরিজ় খুব সহজ হবে না। এই মুহূর্তে ৬২.৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। বাকি সাতটি ম্যাচ জিতলে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাবে ৭৬.৩২ শতাংশ পয়েন্টে। ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা যেমন সহজ হবে না, তেমনই শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে খেলাটাও সহজ নয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য। যদি সাতটির মধ্যে অন্তত পাঁচটি ম্যাচ জিততে পারে তারা তা হলে ৬৫.৭৯ শতাংশ পয়েন্ট হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সুযোগ থাকবে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে যাওয়ার।
দক্ষিণ আফ্রিকা
এই মুহূর্তে ৩৮.৮৯ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের এখনও তিনটি সিরিজ় বাকি রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে হবে সে দেশে গিয়ে। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে প্রোটিয়াবাহিনী। মোট ছ’টি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি ছ’টি ম্যাচ জিতে নেয় তা হলে ৬৯.৪৪ শতাংশ পয়েন্ট পাবে তারা। ফাইনালে ওঠার জন্য যা যথেষ্ট। কারণ ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি দলই ওই পয়েন্ট টপকে যেতে পারবে। কিন্তু যদি একটি ম্যাচ ড্র করে দক্ষিণ আফ্রিকা তা হলে রাস্তা কঠিন হবে।
বাকি দলগুলি
ইংল্যান্ডের এখনও ছ’টি টেস্ট বাকি রয়েছে। এই মুহূর্তে ৪২.১৯ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকলেও তাদের পক্ষে ৫৭.৯৫ শতাংশের বেশি পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে ফাইনালে ওঠা খুবই কঠিন হবে তাদের পক্ষে। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং বাংলাদেশের পক্ষেও ফাইনালে ওঠা কঠিন। তাদের ম্যাচ বাকি থাকলেও সর্বোচ্চ যে পয়েন্ট শতাংশ পেতে পারে তার থেকে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট শতাংশ বেশি। ফলে প্রথম দুইয়ে আসা সম্ভব হবে না এই দলগুলির পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy