হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
দুই ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটার শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশনের মতোই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারতেন হার্দিক পাণ্ড্য। একটি কারণে এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছেন তিনি। কার্যত ‘মুচলেকা’ দিতে হয়েছে তাঁকে।
বরোদার অলরাউন্ডারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ বিসিসিআই কর্তারা। গত এক দিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরে হার্দিক। ফিটনেসের কারণে খেলেননি রঞ্জি ট্রফি। যদিও বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিশেষজ্ঞেরা জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠে ফিরতে কোনও সমস্যা নেই হার্দিকের। তবু বোর্ডের নির্দেশ মতো রঞ্জি ট্রফি খেলেননি হার্দিক। তবু কেন্দ্রীয় চুক্তি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে তাঁর নাম।
শ্রেয়স এবং ঈশানকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অধিকাংশ। তা হলে তাঁদের মতোই হার্দিকও রঞ্জি ট্রফি না খেলে কী করে ছাড় পেলেন? সঙ্গত প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট মহলে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, কার্যত ‘মুচলেকা’ দিয়ে এ যাত্রা ছাড় পেয়েছেন হার্দিক। বোর্ডের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে খেলবেন বলে কথা দিয়েছেন হার্দিক। বোর্ড কর্তা এবং জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামলেছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে নাকি হার্দিক কথা দিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলা না থাকলে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে অবশ্যই খেলবেন। প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এ বারের মতো হার্দিককে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আবার অবাধ্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
হার্দিক টেস্ট ক্রিকেট খেলেন না। পাঁচ দিনের ক্রিকেটের শারীরিক ধকল নিতে পারেন না বলে দাবি তাঁর। সাদা বলের ক্রিকেটে অবশ্য জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হার্দিক। চোটপ্রবণ ক্রিকেটার হিসাবে পরিচিত তিনি। বিসিসিআইয়ের অভিযোগ, যখনই চোট পেয়েছেন, তখনই হার্দিক সব রকম সাহায্য পেয়েছেন। অথচ সুস্থ হওয়ার পর বোর্ডের নির্দেশ মেনে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন না। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘হার্দিককে নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ওকে বলা হয়েছে, ঘরোয়া সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে। বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের সদস্যেরা জানিয়েছেন, লাল বলের ক্রিকেট বল করা হার্দিকের জন্য ঝুঁকি হতে পারে এই মুহূর্তে। ব্যাট করতে সমস্যা নেই। ফলে রঞ্জি ট্রফিতে ওর খেলা কঠিন হতে পারত। তবে দেশের হয়ে খেলা না থাকলে ঘরোয়া সাদা বলের ক্রিকেট খেলতেই হবে। নির্দেশ না মানলে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে হার্দিককেও ছেঁটে ফেলা হতে পারে।’’
বোর্ডের ওই কর্তা আরও বলেছেন, ‘‘হার্দিক বেশ কিছু দিন ধরে টেস্ট খেলছে না। তাই রঞ্জি ট্রফি নাই খেলতে পারে। কিন্তু দেশের হয়ে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যেতে হলে সময় পেলে ঘরোয়া সাদা বলের ক্রিকেট খেলতেই হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে আমরা বার বার আটকে যাচ্ছি। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না চূড়ান্ত পর্বে। তাই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’
আগামী আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগে ভাল পারফরম্যান্স করলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা না-ও পেতে পারেন তিনি। কারণ, জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইপিএলের পারফরম্যান্সকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না আগরকরেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy