ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র।
অন্ধ্র ক্রিকেট থেকে ছাড়পত্র নিতে চলেছেন হনুমা বিহারী। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে দলে ফেরার চেষ্টায় রয়েছেন ২৯ বছরের ব্যাটার। তাই মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলতে চান তিনি। গত বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট বাতিল হওয়ার পর থেকে আর ভারতীয় দলে দেখা যায়নি বিহারীকে। গত বছর বাংলা ছেড়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি ত্রিপুরাতে যোগ দেন। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেই দল বদলান তিনি।
ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন বিহারী। করেছেন ৮৩৯ রান। একটি শতরান করেন। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে ভারতীয় দলে জায়গা করতে পারেননি বিহারী। এই বছরের শুরুতে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় বিহারীকে। দলীপ ট্রফিতে দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক করা হয়েছে তাঁকে।
মধ্যপ্রদেশ দলে রজত পটীদার, বেঙ্কটেশ আয়ার, শুভম শর্মার মতো ক্রিকেটারেরা রয়েছেন। সেই দল আরও শক্তিশালী হবে বিহারীকে পেলে। ২০২১-২২ মরসুমে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের হাত ধরে রঞ্জি জিতেছিল মধ্যপ্রদেশ। বিহারী চন্দ্রকান্তের অধীনে খেলতে চান বলেই মধ্যপ্রদেশে যাচ্ছেন বলে শোনা গিয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১৩টি ম্যাচে ৮৬০০ রান রয়েছে বিহারীর। করেছেন ২৩টি শতরান।
গত বারের রঞ্জিতে খুব ভাল যায়নি বিহারীর। তিনি ১৪টি ইনিংসে ৪৯০ রান করেন। কিন্তু তাঁর ভাঙা আঙুল নিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে অন্ধ্রের হয়ে অর্ধশতরান নজর কেড়েছিল। এক অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গে বিহারী বলেন, “আমি যখন ব্যাট করব বলে ঠিক করি, দলের ফিজিয়ো বার বার বলেন যে আমার ব্যাট করা উচিত হবে না। আঙুলে বল লাগলে আমার ক্রিকেট খেলাই শেষ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছিল ফিজিয়ো। আমি বলেছিলাম যে, আমি যদি আর ক্রিকেট খেলতে না পারি, তাতে কোনও দুঃখ থাকবে না। কিন্তু অন্ধ্রের জন্য যদি এই ম্যাচে আমি খেলতে না পারি তাহলে আমার হৃদয় ভেঙে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy