গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
কেকেআরকে আইপিএল জেতানোর পরেই গৌতম গম্ভীর ভারতের কোচ হতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মাঝেই গম্ভীরের একটি মন্তব্যে জল্পনা বাড়ল। তিনি জানিয়েছেন, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের থেকে একটি বিষয়ে পিছিয়ে কলকাতা। সেই কাজ তিনি কেকেআরের মেন্টর হিসাবে অর্জন করতে চান কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।
এ বারের আইপিএল জেতার পর কেকেআরের তিনটি ট্রফি হল। আইপিএলে তারা তৃতীয় সফলতম দল। চেন্নাই এবং মুম্বই পাঁচটি করে ট্রফি জিতেছে। সেটাই মনে করিয়ে দিয়ে গম্ভীর জানিয়েছেন, কেকেআর এখনও পিছিয়ে।
এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, “এখনও চেন্নাই ও মুম্বইয়ের থেকে দু’টি ট্রফি পিছিয়ে আছি আমরা। আমি খুশি ঠিকই। কিন্তু খিদে এখনও মেটেনি। আইপিএলের সফলতম দল হতে পারিনি এখনও। অবশ্য তিন বার জিততেও পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের পরের লক্ষ্য হল, কেকেআরকে আইপিএলের সেরা দল করে তোলা। তার থেকে ভাল অনুভূতি আর কিছুতেই নেই।”
সোমবার ভারতীয় দলের কোচের পদে আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। গম্ভীর আবেদন করেছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। তাঁকে অবশ্য প্রবল ভাবে চাইছে বোর্ড। সমস্যা হল, শাহরুখ খান তাঁকে কেকেআর থেকে ছাড়বেন কি না তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
আইপিএলের একটি দলের মালিক অবশ্য বলেছেন, বোর্ডের সঙ্গে গম্ভীরের ‘সমঝোতা’ হয়ে গিয়েছে। তবে কবে সে সম্পর্কে চিত্রটা পরিষ্কার হয়, তা এখনও অজানা।
কিছু দিন আগে কেকেআরে সুনীল নারাইনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গম্ভীর। গম্ভীরের প্রিয় ক্রিকেটারদের অন্যতম নারাইন। গম্ভীর বলেছিলেন, ‘‘আমার আর নারাইনের চরিত্র অনেকটা একই রকম। আমাদের আবেগও এক রকম। আমার এখনও মনে আছে ২০১২ সালে প্রথম আইপিএল খেলতে এসেছিল নারাইন। তখন আমরা জয়পুরে। অনুশীলনে যাওয়ার সময় প্রথম দেখা হয়েছিল। নারাইনকে দলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তখন ভীষণ লাজুক ছিল নারাইন। খাওয়ার সময় একটা কথাও বলেনি কারও সঙ্গে। শেষে আমাকে শুধু একটা প্রশ্ন করেছিল। ও বলেছিল, ‘আমি কি আমার বান্ধবীকে আইপিএলের সময় আনতে পারি?’ এ ছাড়া আর কোনও কথা বলেনি।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডারকে সে বারই অনুমতি দিয়েছিলেন গম্ভীর। তার পর থেকে প্রতি বছর আইপিএল খেলতে বান্ধবীকে নিয়েই আসেন নারাইন। গত ১২ বছরে নারাইনের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হয়েছে গম্ভীরের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেকেআর মেন্টর বলেছিলেন, ‘‘প্রথম বছর নারাইন ভীষণ চুপচাপ থাকত। এখন অবশ্য আমাদের মধ্যে সব কিছু নিয়েই কথা হয়। ও আমার ভাইয়ের মতো। বন্ধু বা সতীর্থ হিসাবে নারাইনকে দেখি না। ও আমার ভাই-ই। আমার যদি ওকে প্রয়োজন হয় বা ওর আমাকে প্রয়োজন হলে একটা ফোনই যথেষ্ট। এতটাই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আমাদের। আমরা কেউই বেশি উত্তেজিত হই না। খুব একটা আবেগও প্রকাশ করি না আমরা। দু’জনেই নিজেদের কাজ করে সাজঘরে ফিরে আসতে পছন্দ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy