(বাঁ দিকে) গৌতম গম্ভীর, জন্টি রোডস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার পরে ফিল্ডিং কোচ হিসাবে উঠে এসেছিল জন্টি রোডসের নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতে পারেননি তিনি। কেন তাঁকে নেওয়া হয়নি? এই বিষয়ে মুখ খুললেন জন্টি রোডস।
দায়িত্ব না পেয়ে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন জন্টি। তাঁর মতে, তিনি তো ভারতেই থাকেন। তা হলে তো তাঁকে বিদেশি কোচ বলা যায় না। তার পরেও কেন তাঁকে নেওয়া হল না, তা অবাক করেছে তাঁকে। জন্টি বলেন, “ওরা বিদেশি কোচ চায়নি। কিন্তু আমি তো স্থানীয়। ওরা তো এক জন স্থানীয় ফিল্ডিং কোচই চেয়েছিল। তা হলে কেন আমাকে নেওয়া হল না?” তার পরে নিজেই মজার ছলে বলেন, “বোধ হয় আমার নাম জন্টি রোডস বলেই আমাকে নেওয়া হয়নি। হতে পারে আমি কোনও বড় শহরের বদলে গোয়ায় থাকি বলে আমার কথা বোর্ড ভাবেনি।”
তবে গত কয়েক বছরে ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের মান অনেকটা বেড়েছে বলে মনে করেন জন্টি। তার কৃতিত্ব অবশ্যই ভারতের বর্তমান ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ও প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে দিয়েছেন তিনি। জন্টি বলেন, “ভারতের দুই ফিল্ডিং কোচ যা কাজ করেছে তার জন্য ওদের কুর্নিশ। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আমলে ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। ফিটনেসের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার আমলে তা আরও বেড়েছে। এখন ভাল ফিল্ডার না হলে, বা ফিটনেস খারাপ হলে দলে জায়গা পাওয়া যায় না। ফিটনেস ভারতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
গম্ভীর প্রধান কোচ হওয়ার পরে তাঁর সহকারী হিসেবে চার জনকে চেয়েছিলেন। সহকারী কোচ হিসাবে অভিষেক নায়ার ও রায়ান টেন দুশখাতে, বোলিং কোচ হিসাবে মর্নি মর্কেল ও ফিল্ডিং কোচ হিসাবে জন্টি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর থাকাকালীন জন্টি ও মর্কেলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন গম্ভীর। আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর থাকাকালীন তাঁর সহকারী ছিলেন অভিষেক ও দুশখাতে। গম্ভীরের চাহিদা মতো মর্কেল, অভিষেক ও দুশখাতেকে নিয়োগ করলেও জন্টিকে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy