মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
ভারতের শেষ বিশ্বকাপ জয় ২০১১ সালে। ঘরের মাঠে সে বার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। কিন্তু সেই জয় এসেছিল অসৎ উপায়ে? এমনটাই দাবি পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার সৈয়দ আজমলের। সেই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিন তেন্ডুলকরকে নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে আউট দেওয়া হয়নি। প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছিল।
সে বার মোহালিতে ভারত বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনাল হয়েছিল। সেই ম্যাচে কারচুপি হয়েছিল বলে দাবি আজমলের। তিনি বলেন, “২০১১ সালের বিশ্বকাপে আমি খেলেছিলাম ভারতে। সে বার সচিনের আউট নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। আম্পায়ার এবং আমি এখনও মনে করি সচিন আউট ছিল। কিন্তু রিভিউয়ে ওরা দুটো ফ্রেম দেখায়নি। সেই কারণে বলটি উইকেটের বাইরে যাচ্ছিল দেখায়। না হলে বল মিডল স্টাম্পে লাগত।” ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা আজমলকে কটূক্তি করেন বলেও দাবি স্পিনারের।
যে ঘটনার কথা আজমল বলেছেন, সেই সময় সচিন ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন। উইকেটের সামনে আজমলের বল সচিনের পায়ে লাগে। আম্পায়ার ইয়ান গুল্ড আউট দিলে সচিন রিভিউ নেন। সেখানে দেখা যায় বল স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। জীবন ফিরে পেয়ে সচিন শেষ করেন ৮৫ রানে। ভারত ২৬০ রান তোলে। পাকিস্তান শেষ হয়ে যায় ২৩১ রানে। সচিন ২৩ রানে আউট হয়ে গেলে ভারত বিপদে পড়তে পারত। হয়তো এত রান উঠত না।
সচিনের বিরুদ্ধে আজমল মাত্র দু’বার আউট করেছিলেন। এমসিসি-র ম্যাচে সচিন তাঁর অধিনায়ক ছিলেন। আজমল বলেন, “সচিন একজন কিংবদন্তি। ২০ হাজারের উপর রান করেছে। ওর উইকেট পাওয়া বড় ব্যাপার। সচিনের বিরুদ্ধে খেলাটাই বিরাট ছিল আমার কাছে। এমসিসি ম্যাচে ও আমার অধিনায়ক ছিল। আমাকে বলেছিল দুসরা করে দেখাতে। আমি খুব সম্মান করি সচিনকে। ক্রিকেটার হিসাবে আমি দু’বার খেলেছি ওর বিরুদ্ধে, দু’বারই আউট করেছি।”
এ বারে আবার ভারতে বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আমদাবাদে। ১৫ অক্টোবর হবে সেই ম্যাচ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৮ অক্টোবর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে খেলবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy