ভারতীয় ইনিংসের মাঝে বল পরীক্ষা আম্পায়ারদের। ছবি: আইসিসি।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বল বিকৃত করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটার বাসিত আলির। চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি এবং শুভমন গিলের আউট দেখে তাঁর মনে হয়েছে বল বিকৃত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বাসিতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পুজারা, কোহলি এবং শুভমন যে বলগুলিতে আউট হয়েছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলের এক দিক বেশি চকচকে ছিল এবং সেই দিকটা উইকেটের বাইরের দিকে রাখা হয়েছিল। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই কী ভাবে বলের সেলাইয়ের এক দিকের পালিশ নষ্ট হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। ভারতীয় ইনিংসের মাত্র ২০ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা রিভার্স সুইং করিয়েছেন। এই বিষয়টি বাসিতের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে কোহলি যে বলে আউট হয়েছেন, তা বাসিতের ধারণা আরও দৃঢ় করেছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাসিত বলেছেন, ‘‘কোনও ব্যাটারই বল নিয়ে কিছু বলেনি। অথচ দু’জন আউট হয়েছে বল ছাড়তে গিয়ে। জানি এই ধরনের ঘটনার কোনও প্রমাণ সাধারণত থাকে না। তবে এক দিন প্রমাণ দিতে পারব বলে মনে হয়। স্টিভ স্মিথ ব্যাট করার সময় ওদের ইনিংসের ৭৩ বা ৭৪তম ওভারে বলের এক দিকের চকচকে ভাব কিছুটা ছিল। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় চকচকে দিকটা বাইরের দিকে থাকলে বল উইকেটের ভিতরে ঢোকে। এটা কিন্তু রিভার্স সুইং নয়। যখন বলের চকচকে দিকটা ভিতরের দিকে থাকা সত্ত্বেও বল ভিতরের দিকে আসে, তখন সেটা রিভার্স সুইং। মিচেল স্টার্ক যে বলে কোহলিকে আউট করল, তার চকচকে দিক বাইরের দিকে ছিল এবং বল বাইরের দিকেই গিয়েছে। কোহলি চেয়েছিল বলটা অফসাইডে মারতে। অথচ ওর শট গিয়েছিল অনসাইডে।’’
বাসিত আরও বেশি অবাক হয়েছেন মাঠের দুই আম্পায়ার এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা দেখে। তিনি বলেছেন, ‘‘বল বিকৃত করা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অথচ আম্পায়ার বা বিসিসিআইকে কিছুই বলতে দেখলাম না। আম্পায়াররা কি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন? ভারত আমার দল নয়। আমি পরিচ্ছন্ন ভাবে খেলা দেখি। অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই বল বিকৃত করেছে। ক্যামেরন গ্রিনের বলে পুজারার আউটটা দেখেও কেউ কিছু বলেনি দেখে আমি বিস্মিত। বিসিসিআই বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী বোর্ড। তারাও কিছু দেখতে পেল না!’’ উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৯ রানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৫১।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy