বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
রাজি ছিলেন না বাবর আজ়ম। তাঁকে বিশ্রামে যেতে রাজি করাতে পারছিলেন না কেউই। আসরে নামতে হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভিকে। তাঁকেও কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। শেষে নিজের যুক্তিতে হেরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ়ের মাঝে বিশ্রামে যেতে রাজি হতে বাধ্য হয়েছেন বাবর।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের পর এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, যা বাবরকে বিশ্রামে যেতে বাধ্য করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে বাবরকে বিশ্রামে পাঠানোর কথা ভাবছিলেন পিসিবি কর্তারা। তবে বাবরের সঙ্গে সরাসরি কোনও কর্তা এ ব্যাপারে কথা বলেননি। নানা ভাবে তাঁকে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল। খারাপ পারফরম্যান্সের কথা বলে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেসপিও সরাসরি বাবরকে বিশ্রামে যাওয়ার কথা বলতে দ্বিধায় ছিলেন। নতুন দায়িত্ব নেওয়া গিলেসপি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে চাননি। শেষে দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী কোচ আজহার মাহমুদকে।
পাকিস্তানের ক্রীড়া সাংবাদিক আব্দুল মজিদ ভাট্টির দাবি, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে নকভি মনস্তাত্ত্বিক খেলা শুরু করেন। বাবরের সঙ্গে কেউ একা কথা বলতেন না। ইংল্যান্ড সিরিজ় খেলার জন্য বাবরকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল। গিলেসপি এ নিয়ে বাবরের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। শেষে মাহমুদ রাজি হয়। বাবরকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।’’
অন্য দিকে, পাকিস্তানের অন্যতম নির্বাচক আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘‘আমরা ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং কাদের ফর্মে ফেরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। পাকিস্তান এবং ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাবর ছাড়াও নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি এবং সরফারাজ় আহমেদকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ওরা আমাদের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। দেশের প্রথমসারির প্রতিভা। পাকিস্তানের ক্রিকেটে ওদের অবদান কম নয়। বিশ্রাম পর্বেও আমরা ওদের পাশে থাকব। যাতে সকলে অনেক শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে।’’
পিসিবি সূত্রে খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নকভি বৈঠক করেছিলেন বাবরের সঙ্গে। সেই বৈঠকে তিনি বাবরকে দল এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে বলেন। পিসিবি চেয়ারম্যানের সেই প্রস্তাবেই চাপে পড়ে যান বাবর। নিজের পক্ষে গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে পারেননি তিনি। তখন থেকেই শুরু হয় চাপের খেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy