আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় তাঁর নাম প্রতি বছরই দেখা যায়। কিন্তু এ বার নেই ইরফান পাঠান। বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কেন বাদ পড়েছেন ইরফান। জানা গিয়েছে, ধারাভাষ্যের সময় কয়েক জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত রাগপ্রকাশ করতেন তিনি। সেই কারণেই এই শাস্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিছু ক্রিকেটারের লাগাতার সমালোচনা করছিলেন তিনি। সেই সমালোচনা ক্রিকেটারেরা ভাল ভাবে নিচ্ছিলেন না। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ে ইরফান এক ভারতীয় ক্রিকেটারের এত সমালোচনা করেছিলেন যে তিনি রাগে ইরফানের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন। ইরফানের বিরুদ্ধে নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে অভিযোগ করেছেন কয়েক জন ক্রিকেটার। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, ইরফানকে আগে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। গত দু’বছর ধরে লাগাতার এই ঘটনা ঘটছে। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় ধারাভাষ্যের সময় তুলে ধরছেন। ইচ্ছা করে কয়েক জন ক্রিকেটারের সমালোচনা করছেন। এই বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি বোর্ড। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বোর্ড চাইছে না, এই সব মন্তব্যে ক্রিকেটারদের কোনও মানসিক সমস্যা হোক। ক্রিকেটারদের স্বার্থ সকলের আগে রাখছে বোর্ড।
আরও পড়ুন:
এই প্রথম নয়, এর আগেও দু’বার দু’জনের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদ হয়েছিল সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। সমাজমাধ্যমে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চলত। তার পরে ২০২০ সালে মঞ্জরেকরকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। মঞ্জরেকর নিজের ভুল স্বীকার করেন। ফলে পরে আবার জায়গা পান তিনি।
২০১৬ সালের আইপিএলের আগে ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল হর্ষ ভোগলেকে। কিন্তু তিনি কেন বাদ পড়েছিলেন তার কারণ বুঝতে পারেননি হর্ষ। সমাজমাধ্যমে সে কথা বলেছিলেন তিনি। পরে আবার ফিরে আসেন হর্ষ। এখন দেখার, ইরফান কবে আবার ধারাভাষ্যে ফিরে আসেন।