মণিপুরে বিবস্ত্র করে দুই মহিলাকে হাঁটানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি চাইলেন হরভজন সিংহ। ভারতের প্রাক্তন স্পিনার এবং রাজ্যসভার সাংসদ ওই ঘটনায় সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বললেন।
মণিপুরের একটি ঘটনার ভিডিয়ো বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান দেখা যায় দু’জন মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু পুরুষ। বৃহস্পতিবার হরভজন একটি টুইট করে লেখেন, “যদি বলি, আমি রেগে আছি, তা হলে সেটা অনেক কম বলা হবে। আমি রাগে নিথর হয়ে গিয়েছি। মণিপুরে যা হয়েছে, সেটা দেখে আমার লজ্জা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের যদি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হয়, তা হলে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দেওয়া উচিত নয় আমাদের। ওই ঘটনা দেখার পর থেকে অসুস্থ লাগছে। অনেক হয়েছে। সরকারের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
কী ঘটেছিল মণিপুরে?
বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। ছবিটি গত ৪ মে তোলা বলে দাবি মণিপুর পুলিশের। মহিলাদের উপর নির্যাতনের ওই ঘটনার নিয়ে গত ১২ জুন জাতীয় মহিলা কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল বলে শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রের একটি প্রতিলিপিও প্রকাশ করা হয়েছে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে। সেখানে মোট তিন জন মহিলার উপর যৌন নির্যাতন এবং তাঁদের মধ্যে দু’জনকে নগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগ রয়েছে।
If I say I am angry, it's an understatement. I am numb with rage. I am ashamed today after what happened in Manipur. If the perpetrators of this ghastly crime aren't brought to the book and handed capital punishment, we should stop calling ourselves human. It makes me sick that…
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) July 20, 2023
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই কুকি, জ়ো-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই হিংসার সূচনা হয় সেখানে।