গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
শ্রীসন্থের বল খেলতে নাকি সব থেকে বেশি ভয় পেতেন গৌতম গম্ভীর। ডান হাতি পেসারের সামনে আতঙ্কে থাকতেন তিনি। শ্রীসন্থের সঙ্গে তাঁর বিবাদের মাঝে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গম্ভীর নিজেই। তবে তার নেপথ্যে একটি গল্প রয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে গম্ভীরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, খেলোয়াড় হিসাবে কার বল খেলতে ভয় পেতেন তিনি? কার সামনে ব্যাট করতে আতঙ্ক লাগত তাঁর? উত্তর দেওয়ার একটিই শর্ত ছিল। ভুল উত্তর দিতে হত গম্ভীরকে। জবাবে গৌতি বলেন, ‘‘শ্রীসন্থের বল খেলতে সব থেকে বেশি ভয় লাগত।’’ গম্ভীরের এই জবাব থেকে পরিষ্কার, শ্রীসন্থের বল খেলতে মোটেই ভয় লাগত না তাঁর।
শ্রীসন্থের সঙ্গে গম্ভীরের ঝামেলা হয়েছে লেজেন্ডস ক্রিকেট লিগে। গম্ভীর ও শ্রীসন্থের ঝামেলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে শ্রীসন্থকেই অবশ্য দোষী হিসাবে দেখছেন সমর্থকেরা। সমাজমাধ্যমে এক ক্রিকেটভক্ত ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। সম্ভবত সেটি দর্শকাসন থেকেই তোলা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একটি ওভারের শেষে গম্ভীরের দিকে কিছু একটা বলতে বলতে এগিয়ে যাচ্ছেন শ্রীসন্থ। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে দেখে তাঁকে থামাতে এগিয়ে আসেন সতীর্থ এবং আম্পায়ারেরা। এক আম্পায়ার তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু শ্রীসন্থের থামার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। তিনি ক্রমাগত কিছু বলতে থাকেন গম্ভীরের উদ্দেশে। গোটা ঘটনার সময় গম্ভীরকে এক ভাবে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। শ্রীসন্থের কোনও কথারই উত্তর দেননি তিনি।
গম্ভীরকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে শুক্রবারই বিপাকে পড়েন শ্রীসন্থ। তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে লেজেন্ডস লিগ কমিটি। গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট শ্রীসন্থকে প্রতিযোগিতা চলাকালীন মুছে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীসন্থের অভিযোগ, গম্ভীর তাঁকে ‘ফিক্সার’ বলেছেন। সেই নিয়ে পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন পেসার। কিন্তু প্রতিযোগিতা চলাকালীন তাঁর এই পোস্ট নিয়মবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছে কমিটি। শ্রীসন্থ পোস্ট মুছলে তবেই তাঁর কথা শোনা হবে বলে জানিয়েছে তারা। শ্রীসন্থ এবং গম্ভীরের মধ্যে মাঠে যে ঝামেলা হয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আম্পায়ারেরাও। সেখানে শ্রীসন্থকে গম্ভীর যে ‘ফিক্সার’ বলেছেন তার কোনও উল্লেখ নেই।
অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিযোগিতার প্রধান সৈয়দ কিরমানি। কিরমানি বলেছেন, ‘‘লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেট সব সময় চেষ্টা করে মাঠে ক্রিকেটীয় মানসিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার। খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য আমরা একটা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তৈরি করছি। মাঠে বা মাঠের বাইরে অথবা সমাজমাধ্যমে অনুচিত কিছু ঘটলে, তা কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা হবে।’’ ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার আচরণবিধি অত্যন্ত পরিষ্কার। তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কোনও দল বা খেলোয়াড় সৌজন্য নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের দেশ এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আবেগ জড়িত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy