অম্বাতি রায়ডু। —ফাইল চিত্র
২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে অম্বাতি রায়ডুকে ভারতীয় দলে দেখতে না পেয়ে অবাক হয়েছিলেন সমর্থকেরা। তাঁরা আরও অবাক হয়েছিলেন, যখন দেখা গিয়েছিল অনভিজ্ঞ বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়া হয়েছে। হতাশায় অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন রায়ডু। নাম না করে খোঁচাও মেরেছিলেন শঙ্করকে। এত দিন পরে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রায়ডু। জানালেন, কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও রাগ তাঁর ছিল না।
একটি সাক্ষাৎকারে রায়ডু জানিয়েছেন, তিনি দলগঠন নিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘‘যখন দল ঘোষণা হয় তখন আমি বিমানে ছিলাম। বিমান থেকে নেমে জানতে পারি যে আমাকে নেওয়া হয়নি। স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমার বদলে এমন এক জনকে নেওয়া হয়েছিল যে চার নম্বরে খেলার ক্রিকেটারই নয়। এতে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’’
রায়ডুর মতে, তাঁর বদলে যদি চার নম্বরের যোগ্য কোনও ক্রিকেটারকে নেওয়া হত তা হলে কিছু বলার ছিল না। রায়ডু বলেন, ‘‘যদি অজিঙ্ক রাহানের মতো কাউকে নেওয়া হত তা হলে আমার কিছু বলার থাকত না। কারণ, রাহানের দীর্ঘ দিন ওই জায়গায় খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ছয় বা সাত নম্বরে খেলা কাউকে যদি চার নম্বরে খেলানো হয় তা হলে হতাশা তো হবেই। কারণ, বিশ্বকাপ ও বাকি সব প্রতিযোগিতা তো আলাদা।’’
তবে শঙ্কর বা তৎকালীন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও রাগ ছিল না বলে জানিয়েছেন রায়ডু। ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘‘শঙ্কর বা প্রসাদের বিরুদ্ধে আমার কোনও ব্যক্তিগত রাগ ছিল না। আমি শুধু বিষয়টা মেনে নিতে পারিনি। কারণ, তার আগে নিউ জ়িল্যান্ডে আমি নিজেকে তৈরি করেছিলাম। তার পরেও কেন আমাকে নেওয়া হয়নি সেটা নির্বাচকরাই বলতে পারবে।’’
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পেয়ে রায়ডু টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপ দেখার জন্য এক জোড়া ৩ডি চশমা অর্ডার দিয়েছি।’’ তার আগেই শঙ্করকে ৩ডি ক্রিকেটার হিসাবে (যিনি ব্যাট, বল, ফিল্ডিং তিন ক্ষেত্রেও পারদর্শী) উল্লেখ করেছিলেন প্রসাদ। তাই রায়ডু যে শঙ্করকেই খোঁচা মেরেছিলেন তা পরিষ্কার। এই বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি প্রসাদ। তাই শিখর ধাওয়ান চোট পেয়ে বিশ্বকাপের দল থেকে ছিটকে গেলে রায়ডুর বদলে ঋষভ পন্থকে দলে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন রায়ডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy