Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
IPL

IPL: আইপিএলের জন্যই মৃত্যু হচ্ছে এক দিনের ক্রিকেটের, দাবি প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়কের

আইপিএলের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে এক দিনের ক্রিকেটকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটনের।

আইপিএলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক

আইপিএলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১১:২২
Share: Save:

এক দিনের ক্রিকেটের ৫০ বছরের ইতিহাসের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে এক দিনের ক্রিকেট। তার জন্য দায়ী কে? মাইকেল আথারটনের মতে, আইপিএল। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের দাবি, আইপিএলের জন্যই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এক দিনের ক্রিকেট।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আথারটন বলেন, ‘‘এক দিনের ক্রিকেট এক দম খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। আইপিএলের শুরু থেকেই এক দিনের ক্রিকেটের শেষের শুরু হয়েছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলবে না বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সময় যাতে ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে যেতে পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর থেকেই সবটা পরিষ্কার।’’

আইসিসি জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএলের সময় যাতে সব দেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া যায় তার জন্য সেই সময় কোনও প্রতিযোগিতা হবে না। আথারটনের মতে, আইসিসির এই সিদ্ধান্ত থেকেই পরিষ্কার, কার আধিপত্য বেশি। তিনি বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজের থেকে আইপিএলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আইসিসি। ফলে এক দিনের ক্রিকেটের দর্শক সংখ্যা কমছে।’’

কিছু দিন আগে এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বেন স্টোকস। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেললেও এক দিনের ক্রিকেট খেলতে অনীহা তাঁর। যে ক্রিকেটার ইংল্যান্ডকে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, সেই ক্রিকেটারের এক দিনের ক্রিকেট ছাড়ার পিছনে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আধিপত্যকে তুলে ধরেছেন আথারটন।

এখন এক দিনের ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করছেন না ক্রিকেটাররাও। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো এক দিনের ক্রিকেট দেখার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। অশ্বিন বলেছেন, “এক দিনের ক্রিকেটে না আছে সেই সৌন্দর্য, না আছে সেই উত্তেজনা। আগে ক্রিজে এসে ব্যাটাররা সময় নিত। ম্যাচটাকে আরও উত্তেজক জায়গায় নিয়ে যেতে চাইত। তার পর বল রিভার্স সুইং করা শুরু করত। এক সময় ব্যাটিং করা দলের ৬০ বলে ৬০ রান দরকার এবং হাতে সাত উইকেট থাকা সত্ত্বেও বোলিং করা দলকেই এগিয়ে রাখা হত। সে জিনিস আর নেই। এখন ওই রান চোখের পলকে উঠে যাবে।”

আইপিএলের পাশাপাশি সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ক্রিকেট লিগ। সেখানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই খেলা হয়। সারা বছর বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগেই খেলা পছন্দ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। সুনীল নারাইন, কায়রন পোলার্ড, ক্রিস গেলরা বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার জন্য একটা সময় দেশের হয়ে খেলতে চাইতেন না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই রমরমাই ধীরে ধীরে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে এক দিনের ক্রিকেটকে? প্রশ্ন তুলছেন আথারটন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE