যোগ করেছেন, ‘‘কোহলি এই গোটা বিষয়ে চুপ ছিল। এতে ভালই হয়েছিল। না হলে বিতর্ক বাড়তেই পারত। কুম্বলেও বিষয়টি নিয়ে বাইরে আলোচনা করেনি। যদিও ও মনে করত, যে ওর সময়ে দল গত এক বছরে যে ফল করেছিল, তার নিরিখে ওর চুক্তি বাড়তেই পারে।’’
বিতর্ক: প্রাক্তন কোচ কুম্বলে এবং প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাটকে নিয়ে চর্চা।
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি লিখে ফেলেছেন বিস্ফোরক এক বই ‘নট জাস্ট এ নাইটওয়াচম্যান: মাই ইনিংস উইথ বিসিসিআই’। লেখক প্রশাসকদের কমিটির একদা প্রধান বিনোদ রাই। সেখানেই তিনি লিখেছেন, কোচ থাকার সময়ে অনিল কুম্বলের মনে হয়েছিল তাঁর সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। সে কারণেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদিও তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, কুম্বলে যে ভাবে দলে শৃঙ্খলা আরোপ করতে চাইছেন, তাতে দলের অনেকেই খুশি নন। নিজের বইয়ে বিনোদ রাই জানিয়েছেন, কোহলি তৎকালীন কোচ কুম্বলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেই ভারতীয় কোচ কুম্বলে পদত্যাগ করেন।
বিনোদ রাই তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘‘তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক ও দল পরিচালন সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা আমাকে জানান, কুম্বলে শৃঙ্খলাকে অসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে চলেন। আর তা তিনি দৃঢ় ভাবে আরোপ করতে চান দলে। যা অনেকের পছন্দের নয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলি দলের অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে। তিনি বলেন, দলের তরুণ ক্রিকেটারেরা কোচের এই ব্যবহারে বেশ বিব্রত।’’
বিনোদ রাই আরও লিখেছেন, ‘‘এর পরেই সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণদের নিয়ে গঠিত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে কথা বলি। বিষয়টি সমাধানের জন্য লন্ডনে কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গেও কথা হয়। কিন্তু ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির তরফেই কুম্বলেকে ফের কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার প্রচেষ্টা জারি ছিল।’’
বিনোদের বইয়ে লেখা রয়েছে, ‘‘যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পরে কুম্বলের সঙ্গে আবার কথা হয়। যা ঘটেছে তা নিয়ে কুম্বলে খুব বিমর্ষ ছিল। কুম্বলের মনে হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে ঠিক ভাবে ব্যবহার হয়নি। অধিনায়ক বা ক্রিকেটারদের এতটা গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। দলে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব ফেরাতে কোচের একটা ভূমিকা থাকে। কুম্বলে চাইত, ওর দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করুক ক্রিকেটারেরা।’’
বিনোদ রাই জানিয়েছেন, ক্রিকেটারেদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছিলেন, কোচ কুম্বলে দলে শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব নিয়ে যতটা ভাবতেন, ততটা দল কী ভাবে খেলবে বা রণনীতি কী ভাবে সাজানো হবে, সে ব্যাপারে অতটা সক্রিয় ছিলেন না। কেন তার পরে কোচ হিসেবে কুম্বলের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না, সে ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথাও হয় প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটারের। বইয়ে বিনোদ রাই এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘আমি কুম্বলেকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করি। এক বছর আগে তাঁকে যখন কোচ করা হয়, তখন চুক্তিতে পুনরায় নিয়োগ করার কোনও নিয়ম লেখা ছিল না। আমাদের তাই নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর সেটাই হয়েছিল শেষ পর্যন্ত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কোহলি এই গোটা বিষয়ে চুপ ছিল। এতে ভালই হয়েছিল। না হলে বিতর্ক বাড়তেই পারত। কুম্বলেও বিষয়টি নিয়ে বাইরে আলোচনা করেনি। যদিও ও মনে করত, যে ওর সময়ে দল গত এক বছরে যে ফল করেছিল, তার নিরিখে ওর চুক্তি বাড়তেই পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy