দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। ছবি: পিটিআই।
ক্রিকেটবিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘চোকার্স’ হিসাবেই খ্যাত। কারণ সাফল্যের শেষ ধাপে এসে বার বার পা হড়কেছে তাদের। বিশ্বকাপেও একই ইতিহাস। তারা ৫০ এবং ২০ ওভারের বিশ্বকাপে মোট ৩৯টি ম্যাচ হেরেছে, তার মধ্যে ২৩ বারই রান তাড়া করতে গিয়ে। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও একই জিনিস দেখা গিয়েছে। প্রায় প্রতি বিশ্বকাপেই এ রকম অনামী দলের কাছে হেরেছে তারা।
বনাম জ়িম্বাবোয়ে (১৯৯৯)
সে বার তারা বিশ্বকাপের দাবিদার ছিল। দলে ছিলেন জাক কালিস, গ্যারি কার্স্টেন, জন্টি রোডসের মতো ক্রিকেটার। ব্যাটিং, বোলিং দুটোই শক্তিশালী ছিল। সেই ম্যাচে ২৩৩-৬ তুলেছিল জ়িম্বাবোয়ে। জবাবে ৪০ রানেই ৬ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত ১৮৫ তোলে তারা।
বনাম বাংলাদেশ (২০০৭)
আট বছর পরে আবার হোঁচট। হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশের কাছে ৬৭ রানে হেরেছিল তারা। ভারতকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২৫১-৮ তুলেছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা ভাল করেও রান তাড়া করতে পারেনি।
বনাম বাংলাদেশ (২০১৯)
১২ বছর পর সেই বাংলাদেশের কাছেই আবার হারতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এ বারও আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে ৩৩০-৬ তোলে তারা। জবাবে ১১ ওভারে ১০২ রান এবং ৬ উইকেট বাকি থাকা সত্ত্বেও হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০৯-৮ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
বনাম নেদারল্যান্ডস (২০২২)
এটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সেই ডাচ বাহিনীই। প্রোটিয়া বোলারেরা ভাল খেলে নেদারল্যান্ডসকে ১৫৮ রানে আটকে রেখেছিলেন। ভাল বল করেছিলেন কেশব মহারাজ। কিন্তু নেদারল্যান্ডস তাদেরও চমকে দেয়। রোলফ ফান ডার মারউই যে ক্যাচটি নেন ডেভিড মিলারের, সেটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।
বনাম নেদারল্যান্ডস (২০২৩)
কেউ ভাবতেই পারেনি ৫০ ওভারের ডাচদের কাছে হারতে হবে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৩ ওভারের। আগে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস ২৪৫-৮ তুলেছিল। সেটাও তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা হেরে গিয়েছে ২৭ রানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy