ললিত মোদী। —ফাইল চিত্র।
থামানো যাচ্ছে না প্রবীণ কুমারকে। ভারতের সব ক্রিকেটার মদ্যপান করেন এবং প্রত্যেকে বল বিকৃতির সঙ্গে যুক্ত বলার পর আবার বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ললিত মোদী, বললেন প্রবীণ। ভারতের প্রাক্তন পেসার না কি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলতে রাজি ছিলেন না। সেই কারণে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন ললিত।
এক সাক্ষাৎকারে ললিত বলেন, “আমি আরসিবি-র হয়ে খেলতেই চাইনি। আমার বাড়ি থেকে বেঙ্গালুরু অনেক দূরে। আমি ইংরাজি ভাষা জানতাম না। ওখানকার খাবার আমার পছন্দ ছিল না। বরং দিল্লি অনেক কাছে। আমার বাড়ি মিরাটে। চাইলে আমি সেখান থেকে সহজে যাতায়াতও করতে পারতাম। কিন্তু আমাকে দিয়ে একটা কাগজে সই করানো হয়। আমি জানতাম না, ওটাই চুক্তিপত্র। আমি বলেছিলাম যে, দিল্লির হয়ে খেলতে চাই, বেঙ্গালুরুতে নয়। ললিত মোদী আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন কেরিয়ার শেষ করে দেবেন।”
২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন প্রবীণ। এর পর তিনি খেলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (২০১১-২০১৩), মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (২০১৪), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০১৫) এবং গুজরাট লায়ন্সের (২০১৬-২০১৭) হয়ে।
ক্রিকেটে বল বিকৃত করাকে বড় অপরাধ হিসাবে ধরা হয়। সেই বল বিকৃতি নিয়েই বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন প্রবীণ। তাঁর দাবি, খেলোয়াড়জীবনে সব দলকেই রিভার্স সুইং করানোর জন্য বল বিকৃত করতে দেখেছেন তিনি। এক অনুষ্ঠানে প্রবীণ বলেছেন, ‘‘সব দলই কম-বেশি বল বিকৃত করে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা একটু বেশিই বল বিকৃত করে। ওরা বলের এক দিক সমানে আঁচড়াতে থাকে। তবে বল শুধু বিকৃত করলেই হয় না। দলের অন্তত এক জনকে তার সুবিধা নিতে জানতে হয়। বলের এক দিক আঁচড়ে কারও হাতে বল তুলে দিলেই রিভার্স সুইং হবে না। তার সেই দক্ষতা থাকতে হবে।’’
অভিযোগ ওঠে, প্রবীণ নাকি মদ্যপান করতেন। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, সবাই মদ খায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, “ভারতীয় দলে থাকার সময় সিনিয়রেরা খালি বলত, ‘মদ খাস না, এটা করিস না, ওটা করিস না’। সব সময় একই কথা বলত। কিন্তু সবাই সব কিছু করে। শেষ পর্যন্ত বদনাম হয় আমার। বলা হয়, ‘পিকে তো মদ্যপান করে’। আসলে সবাই মদ খায়।”
তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটারেরা তাঁকে কোনও দিন এ ধরনের উপদেশ দিয়েছেন কি না। সাবধানী হয়ে প্রবীণের জবাব, “আমি কারও নাম নিতে চাই না। ক্যামেরার সামনে কারও নাম বলব। কিন্তু পিকে-র বদনাম কে করত সেটা সবাই জানে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy