পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানি বলেন, “আমি সব সময় একটা বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম। যদি ভারত মনে করে খেলবে, তা হলে পাকিস্তানে এসে খেলতে হবে। আমি কখনও না বলিনি, কিন্তু নিজেদের সম্মান রাখা উচিত। আমরা কেন ভারতের পিছনে দৌড়ব? এটা কখনও উচিত নয়। ওরা যদি খেলতে রাজি থাকে, তা হলে আমরাও খেলতে রাজি।”
—ফাইল চিত্র
ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ ১০ বছর ধরে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটে। এর মাঝে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রাজি ছিল অন্য দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে, কিন্তু ভারতীয় বোর্ড জানায় যে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। পাকিস্তানের প্রাক্তন বোর্ড প্রধান এহসান মানির মতে পিসিবি-র কোনও প্রয়োজন নেই ভারতকে অনুরোধ করার। ভারত প্রয়োজন মনে করলে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলবে।
রামিজ রাজার আগে মানিই ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান কর্তা। ২০১২-১৩ সালে ভারতের মাটিতে খেলতে এসেছিল পাকিস্তান। সেটাই শেষ বার। তার পর থেকে আইসিসি-র কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়া আর একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলতে নামেনি ভারত-পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানি বলেন, “আমি সব সময় একটা বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম। যদি ভারত মনে করে খেলবে, তা হলে পাকিস্তানে এসে খেলতে হবে। আমি কখনও না বলিনি, কিন্তু নিজেদের সম্মান রাখা উচিত। আমরা কেন ভারতের পিছনে দৌড়ব? এটা কখনও উচিত নয়। ওরা যদি খেলতে রাজি থাকে, তা হলে আমরাও খেলতে রাজি।”
বর্তমান পিসিবি প্রধান রামিজ রাজা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারত, পাকিস্তান এবং আরও দু’টি দলকে নিয়ে একটি সিরিজের আয়োজন করার। কিন্তু আইসিসি তা মেনে নেয়নি। তারা জানিয়ে দেয় যে এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মতো সময় বার করা যাবে না।
এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট দ্রুত বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর পিসিবি প্রধান বলেন, “আমি যখনই ভারত এবং পাকিস্তান নিয়ে কথা বলেছি, তখন আমি পিসিবি-র প্রধান হিসেবে কথা বলিনি। দুই দেশ খেললে যে মাপের ক্রিকেট খেলা হয়, সেটা মাথায় রেখে বলেছি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বলতে পারি, রাজনীতি সরিয়ে রাখা উচিত। ক্রিকেটভক্তরা কেন বঞ্চিত হবে ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখার থেকে? সবাই দেখতে পাচ্ছে কেন এই লড়াইটা এখনও বিশ্বের সেরা যুদ্ধ। আমাদের চেষ্টা করতেই হবে সিরিজ আয়োজনের।”
প্রাক্তন পিসিবি প্রধান যদিও রাজার এমন বক্তব্যের বিপরীত মেরুতে হাঁটলেন। এখন দেখার আদৌ রাজাঢ় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা সফল হয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy