অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার ইংল্যান্ডের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা। এ বার এক দিনের বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ হারাতে পারে ইংল্যান্ড। চিন্তা কম পাকিস্তানের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারে ৮ রানে। এই দুই হার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই ছিটকে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতলেও হয়তো গ্রুপে সকলের নীচে থাকবে ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে তাদের খেলা নিয়েই সংশয় তৈরি হল।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে ১৬টি এক দিনের ম্যাচে মাত্র চারটি জিতেছে ইংল্যান্ড। সেই বিশ্বকাপেও মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। যে দল ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছে, ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে, সেই দলের এমন অবনতি অবাক করেছে ক্রিকেটবিশ্বকে। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে হলে কী করতে হবে ইংল্যান্ডকে?
আরও পড়ুন:
আগামী এক দিনের বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে। সেই প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জ়িম্বাবোয়ে আয়োজক দেশ হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে আটটি দল আইসিসির এক দিনের ক্রিকেটের ক্রমতালিকায় প্রথম আটের মধ্যে থাকবে, তারাও সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। এই ১০ দল বাদ দিয়ে আরও চারটি দল যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠবে।
ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে এক দিনের ক্রিকেটে ক্রমতালিকায় সাত নম্বরে রয়েছে। অষ্টম স্থানে থাকা আফগানিস্তানের থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট বেশি তাদের। নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৮০ পয়েন্ট। ইংল্যান্ড যদি দ্রুত উন্নতি না করে, তা হলে ক্রমতালিকায় আরও নেমে যেতে পারে। দশম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ও খুব দূরে নেই। তাদের ৭৮ পয়েন্ট। পাকিস্তান তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১০৬ পয়েন্ট নিয়ে। ফলে তাদের চিন্তা অনেকটাই কম।