বেয়ারস্টোকে নিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট এবং সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স
দুরন্ত ব্যাটিং করে দ্বিতীয় টেস্ট ৫ উইকেটে জিতে নিল ইংল্যান্ড। তিন টেস্টের সিরিজে নটিংহ্যামেই ২-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেল আয়োজকরা। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৯৯ রান। জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। আরও এক বার চাপের মুখে ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে উপস্থিত হলেন স্টোকস।
ম্যাচের পঞ্চম তথা শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৮৪ রানে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটারের মধ্যে ড্যারেল মিচেল ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর ব্যাটার ম্যাট হেনরি ১৮ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হন। রান পেলেন না জোরে বোলার কাইল জেমিসন (১)। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট করেন ১৭। কিউয়িদের ইনিংস ভাঙলেন মূলত জেমস অ্যান্ডারসন এবং ব্রড। অ্যান্ডারসন মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ব্রডের সংগ্রহ ৭০ রানে ৩ উইকেট। ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট ম্যাথু পটসের।
প্রথম ইনিংসে ১৪ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে কিউয়িরা ইংল্যান্ডের সামনে শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ২৯৯ রানের লক্ষ্য রাখতে সমর্থ হয়। কিন্তু শেষ দিনে এই রান তোলা খুব সহজ ছিল না। বোল্টদের দাপটে মাত্র ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে এক সময় চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ওপেনার জ্যাক ক্রলি (০), তিন নম্বরে নামা অলি পোপ (১৮) এবং চার নম্বরে নামা জো রুট (৩) রান পেলেন না। উইকেটের এক দিক অবশ্য আগলে রেখেছিলেন অন্য ওপেনার অ্যালেক্স লিস। তিনি করেন ৮১ বলে ৪৪ রান। তাতে অবশ্য ইংল্যান্ড শিবির চাপমুক্ত হয়নি।
আসল কাজটা করলেন বেয়ারস্টো এবং স্টোকস জুটি। টেস্ট ক্রিকেটেও এক দিনের মেজাজে ব্যাট করে জয় ছিনিয়ে আনলেন বেয়ারস্টো। ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসটি তিনি সাজালেন ১৪টি চার এবং ৭টি ছয় দিয়ে। ২২ গজে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন স্টোকস। তিনি ৭০ বলে ৭৫ রানের দুরন্ত অপরাজিত ইনিংস খেললেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিজের ইনিংসটি সাজালেন ১০টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে। পঞ্চম উইকেটে তাঁদের জুটিতে দ্রুত উঠল গুরুত্বপূর্ণ ১৭৯ রান। তাঁদের জুটিই ম্যাচের ফল ঠিক করে দিল। বেয়ারস্টো যখন বোল্টের বলে আউট হলেন সে সময় ইংল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে উঠে গিয়েছে ২৭২ রান। অর্থাৎ, জয় নাগালের মধ্যেই। তার পরেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেন ফকস (অপরাজিত ১২)।
নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার বোল্ট (৯৪ রানে ৩ উইকেট) ইংরেজ শিবিরে পাল্টা লড়াই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। নটিংহ্যামে দুরন্ত জয়ের ফলে দীর্ঘ দিন পর কোনও টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত হল ইংল্যান্ডের। নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েও দলকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে এলেন স্টোকস। দুরন্ত শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা হলেন বেয়ারস্টো।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy