লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষী। এই স্টেডিয়াম থেকেই সিসি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘ ৬ বছর পাকিস্তানে বন্ধ থেকেছে ক্রিকেট। গত কয়েক বছর থেকে আবার সেখানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় শুরু হয়েছে। চলতি বছর এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্বও তাদের। কিন্তু তার মধ্যেই আবার প্রশ্নের মুখে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে তার কোনও জবাব দিতে পারেননি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কলন্দর্স ও পেশোয়ার জালমির মধ্যে খেলা ছিল। তার আগেই দেখা যায়, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে লাগানো ৮টি সিসি ক্যামেরা উধাও। শুধু ক্যামেরা নয়, সেই ক্যামেরার সঙ্গে যুক্ত ফাইবার কেবল ও জেনারেটারও তুলে নিয়ে গিয়েছে চোরের দল। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা বলয় টপকে কী ভাবে এত বড় চুরি হল সেটা বুঝতে পারছেন না স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০০৯ সালে এই লাহোরেই হোটেল থেকে গদ্দাফি স্টেডিয়াম যাওয়ার পথে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ক্রিকেটাররা। ছ’জন ক্রিকেটার আহত হন। প্রাণ হারান ছয় নিরাপত্তারক্ষী ও দু’জন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনার পর থেকে পাকিস্তান সফর বন্ধ করে দিয়েছিল সব দেশ। পাকিস্তানের ঘরোয়া খেলাও হত সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০১৫ সাল থেকে আবার ক্রিকেট শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশ পাকিস্তান সফর করেছে। তার মধ্যেই আবার সে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
এই বছরই পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সে দেশে খেলতে যেতে আপত্তি জানিয়েছে। অন্য কোনও দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবিতে অনড় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে, ভারত ছাড়া বাকি সব দেশ পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে। ভারতের খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কিন্তু তার মাঝেই স্টেডিয়ামের সিসি ক্যামেরা চুরি যাওয়ায় কিছুটা হলেও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy