কোয়ার্টার ফাইনালে এক রানের লিড। সেমিফাইনালে দু’রানের লিড। পর পর দুই ম্যাচে দুই গুরুত্বপূর্ণ লিড প্রথম বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তুলে দিল কেরলকে। গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাত্র দু’রানের লিড নেওয়ার সুবাদে ফাইনালে উঠেছে কেরল। সামনে বিদর্ভ, যারা ৮০ রানে হারিয়েছে ৪২ বারের বিজয়ী মুম্বইকে।
প্রথম ইনিংসে ৪৫৭ তোলার সুবাদে অনেকেই কেরলকে ফাইনালে ওঠার দাবিদার মনে করেছিলেন। তবে গুজরাত লড়াই ছাড়েনি। ঘরের মাঠে প্রিয়াঙ্ক পঞ্চাল (১৪৮), আর্য দেসাই (৭৩), জয়মিত পটেলের (৭৯) সৌজন্যে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে তারা।
এ দিন গুজরাত খেলা শুরু করেছিল ৪২৯/৭ নিয়ে। শুক্রবারই শেষ দিন ছিল। তাই ২৯ রান করে প্রথম ইনিংসে লিড নিলেই ফাইনাল নিশ্চিত ছিল গুজরাতের। এই অবস্থায় কেরলকে জয় এনে দেন বাঁ হাতি স্পিনার আদিত্য সরওয়াতে। শেষ তিনটি উইকেটই তিনি নিয়েছেন।
জয়মিত এবং সিদ্ধার্থ দেসাইয়ের জুটি কেরলকে হতাশ করে তুলেছিল। লিড নিতে ২৩ রান বাকি থাকা অবস্থায় জয়মিতের ক্যাচ ফেলেন কেরল অধিনায়ক সচিন বেবি। তবে সেই ওভারেই ফেরেন জয়মিত। একাধিক রিপ্লের পর আম্পায়ার তাঁকে আউট দেন। তবে অর্জন নাগওয়াসওয়ালা আগ্রাসী খেলে গুজরাতের লিড নেওয়ার কাছাকাছি এনে দেন।
গুজরাত ১১ রান পিছিয়ে থাকা অবস্থায় নবম উইকেট হারায়। সরওয়াতে ফেরান সিদ্ধার্থকে। ক্যাচ আউটের বিরুদ্ধে সিদ্ধার্থ রিভিউ নেন। তবে ব্যাটে না লাগলেও বল তাঁর প্যাডে লেগেছিল বলে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি দেখেন আম্পায়ার। সেখানে দেখা যায় সরওয়াতের বল উইকেটে লাগছে। তাই ফিরতেই হয় সিদ্ধার্থকে।
তবে শেষ উইকেটটি আরও বেশি নাটকীয়। গুজরাতকে লিড নিতে তখন মাত্র তিন রান করতে হবে। এমন সময় নাগওয়াসওয়ালার জোরালো শট শর্ট লেগে দাঁড়ানো সলমন নিজ়ারের হেলমেটে লেগে আকাশে উঠে যায়। সেই ক্যাচ ধরেন সচিন। দু’রানের লিড নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে কেরল। বাকি সময়ে তারা চার উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তোলে।
আরও পড়ুন:
এ দিকে, বিদর্ভের প্রথম ইনিংসে তোলা ৩৮৩ রানের জবাবে ২৭০-এ শেষ হয়ে গিয়েছিল মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ তোলে বিদর্ভ। মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৪০৬ রান। তারা ৩২৫ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব (২৩), অজিঙ্ক রাহানে (১২) ব্যর্থ। একমাত্র লড়াই করেন শার্দূল ঠাকুর (৬৬)।