রঞ্জি ট্রফি। ফাইল চিত্র
দু’বছর পরে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আবার মাঠে গড়াবে লাল বল। ২০২০ সালের পর এই বছর আবার হবে রঞ্জি ট্রফি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা প্রতিযোগিতা আবার শুরু হচ্ছে শুনে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটাররা।
শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, দুটি পর্বে রঞ্জি ট্রফি হবে। ক্রিকেটাররা তা নিয়ে ভাবছেন না। তাঁদের একটিই কথা, খেলা হচ্ছে, এটিই সব থেকে বড় কথা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচছেন ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা। জয় জানিয়ে দিয়েছেন, রঞ্জির লিগ পর্বের খেলা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে। নক আউট পর্বের খেলা হবে আইপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার পর জুন মাসে।
সৌরাষ্ট্রের ব্যাটার শেলডন জ্যাকসন বলেন, ‘‘আমরা কেউই লিগ-নক আউট, এ সব নিয়ে ভাবছি না। জৈবদুর্গ, কোভিড, এ সব নিয়েও আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের কাছে আসল হল, খেলা আবার হচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটাররা সবাই এটাই ভাবছে। এখন খেলাটাই বড় কথা। বাকি সব কিছু পরে দেখা যাবে।’’
ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। জ্যাকসন বলেন, ‘‘এই কঠিন পরিস্থিতিতেও বোর্ড যে লাল বলের ক্রিকেট আয়োজন করছে, তার জন্য আমরা সব ক্রিকেটাররা বিসিসিআই-এর কাছে কৃতজ্ঞ। খেলার সুযোগ পেলে তবেই উপরে ওঠা যায়। শুরুতে ব্যাপারটা বেশ চ্যালেঞ্জের হবে।’’
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, লিগ পর্বে প্রতি দলকে পাঁচটি করে ম্যাচ খেলতে হবে। প্রতি ম্যাচের পর তিন দিন বিশ্রাম দিলে এক মাসে লিগ পর্ব শেষ করা যাবে। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল জুনে হবে।
চণ্ডিগড়ের জোরে বোলার সন্দীপ শর্মা নিয়মিত আইপিএল-এ খেলেন। কিছু দিন আগে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার আগে ডেঙ্গির জন্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেননি তিনি। রঞ্জি হচ্ছে জেনে তিনিও খুশি। মনে করছেন, বোর্ডের কাজটি সব থেকে কঠিন।
আর্থিক একটি দিকও রয়েছে। বহু ক্রিকেটার আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন জানিয়ে সন্দীপের বক্তব্য, ‘‘আইপিএল-এ মাত্র ২০০ জন খেলে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সংখ্যাটা অনেক বেশি। ক্রিকেট জীবনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আর্থিক দিকটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই খেলা হোক। যে হেতু আমি কোভিড থেকে সেরে উঠেছি, তাই একটাই প্রার্থনা, রঞ্জি চলাকালীন যেন কেউ কোভিড আক্রান্ত না হয়।’’
আইপিএল-এর অভিজ্ঞতা থেকে সন্দীপ বলেন, ‘‘রঞ্জিতে ৩৮টা দল খেলবে। আইপিএল-এ দেখেছি, কঠিন জৈবদুর্গ থাকা স্বত্ত্বেও ভাইরাস হানা দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, বোর্ড খুব বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপারটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের।
সিদ্ধেশ লাড এ বার মুম্বই দলে সুযোগ পাননি। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের মতো ক্রিকেটারের জন্য এটা ভাল খবর। এর ফলে আর্থিক দিক নিয়ে আমদের চিন্তা করতে হবে না। গত দু’-তিনটে মরসুম তো আমরা খেলার সুযোগই পাইনি।’’
রঞ্জি হবে জেনে কোচ-কর্তারাও খুশি। সৌরাষ্ট্রের কোচ নীরজ ওদেদরা বলেন, ‘‘দু’ দফায় রঞ্জি আয়োজন করার দায়িত্বটা কঠিন। কিন্তু এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। আরও একটা বছর রঞ্জি না হলে প্লেয়ারই উঠবে না।’’
যে হেতু সময় কম, তাই বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিইও শিশির হত্তংগড়ীর প্রস্তাব, ‘‘হাতে যা সময় আছে, তাতে বোর্ড পাঁচ দিনের বদলে তিন দিনের ম্যাচ করতে পারে। নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো চার দিনের হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy