ডেভিড ওয়ার্নারের অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তাঁর স্ত্রী ক্যান্ডিস। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
ডেভিড ওয়ার্নার অধিনায়ক হতে চান না। সরকারি ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়ার্নারের যে অধিনায়ক হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা তুলে নিতে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নিজেই সরিয়ে নেন ওয়ার্নার। কী কারণে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিস।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বলবিকৃতিতে নাম জড়ায় ওয়ার্নারের। এর পরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দলে ফেরানো হলেও আর কখনও নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার পাবেন না বলেই জানিয়েছিল বোর্ড। সেই অধিকার ফিরে পাওয়ার আবেদন করেও পিছিয়ে আসেন ওয়ার্নার। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি? ক্যান্ডিস সেই কথা বলছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। সেটা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন ওয়ার্নারের স্ত্রী। ক্যান্ডিস বলেন, “২০১৮ সাল থেকে একটা যন্ত্রণা নিয়ে চলছি আমরা। একটা সময়ের পর সেটা অসহ্য হয়ে ওঠে। ডেভ (ডেভিড ওয়ার্নার) জেতা বলেছিল সেটা খুব স্পষ্ট এবং সত্যি। ও বলেছিল যে, পরিবার সকলের আগে। সত্যিই জীবনে ক্রিকেটের থেকে অনেক বড় জিনিস রয়েছে। ডেভ ওর পরিবারের খুব খেয়াল রাখে। ও নিজের আবেদন খারিজ না করে পারেনি। ক্রিকেটের থেকেও জীবনে অনেক বড় জিনিস আছে, এটাই শেষ কথা।”
ক্যান্ডিস জানিয়েছেন, কী ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। তিনি বলেন, “আমাদের নরক দর্শন করতে হয়েছে। পরিবার এবং বন্ধুদের আবার সেটার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি ও। ডেভিড যে সময়টা পার করে এসেছে, সেটাতে আবার ফিরে যেতে চায়নি। ওর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। এটা ডিসেম্বর। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
২০১৮ সালের ঘটনার পর ওয়ার্নার এবং তাঁর পরিবারের উপর বিভিন্ন রকম আক্রমণ হয়েছিল। তাঁদের আবার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনা নিয়েও আপত্তি ছিল অনেকের। শেষ পর্যন্ত দলে ফিরলেও তাঁকে অধিনায়ক করা নিয়ে আপত্তি রয়েই গিয়েছে। ২০১৮ সালে ওয়ার্নার দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy