যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে স্ত্রী ধনশ্রী বর্মা। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে এ বার মুখ খুললেন যুজবেন্দ্র চহালের স্ত্রী ধনশ্রী বর্মা। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে বলে জল্পনায় ছেয়ে গিয়েছিল সমাজমাধ্যমে। এর মাঝেই একের পর এক পোস্ট করছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার চহাল। এ বার ধনশ্রী নীরবতা ভেঙে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করলেন। কী লিখলেন তিনি?
বুধবার ধনশ্রীর করা পোস্টে লেখা ছিল, “গত কয়েক দিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুব কঠিন ছিল। সব থেকে বিরক্তিকর বিষয় হল, সত্যতা যাচাই না করেই কিছু লোকের সমাজমাধ্যমে ভিত্তিহীন লেখা এবং আমাকে নিয়ে ভুল মন্তব্য করা, ঘৃণা ছড়ানো এবং ট্রোল করা।” তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার নাম, পরিচিতি সততার সঙ্গে গড়ে তোলার জন্য বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার নীরবতা দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং এটা শক্তির পরিচয়। নেতিবাচকতা সমাজমাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, তবে অন্যদের উন্নতিতে সাহায্য করতে সাহস এবং সহানুভূতি লাগে।”
ধনশ্রীর সংযোজন, “আমি সততায় বিশ্বাসী এবং আমার মূল্যবোধকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই। এক দিন না এক দিন সত্যি সামনে আসবেই, তখন কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
গত মঙ্গলবার, চহাল সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “সাইলেন্স ইজ় এ প্রোফাউন্ড মেলডি, ফর দোজ় হু ক্যান হিয়ার ইট অ্যাবাভ অল দ্য নয়েজ়।” গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের বিখ্যাত সেই উক্তির বঙ্গানুবাদ করলে হয়, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। তারাই শুনতে পায়, যারা বিকট আওয়াজের মাঝেও তা শুনতে পারে।”
কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে সব ছবি মুছে দেন চহাল। যদিও ধনশ্রী ছবি মোছেননি। তাঁর ইনস্টাগ্রামে জ্বলজ্বল করছে স্বামী চহালের সঙ্গে ছবি। ভারতীয় ক্রিকেটারের একটি পোস্ট জল্পনাকে আরও উসকে দেয়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চহাল যা লিখেছিলেন, তার অর্থ ‘‘কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে আলোকিত করে। আপনি নিজের যাত্রা জানেন, নিজের কষ্ট জানেন। যেখানে পৌঁছেছেন, সেখানে পৌঁছনোর জন্য কী কী করতে হয়েছে জানেন। গোটা বিশ্বও জানে। সোজা ভাবে দাঁড়ানো উচিত। আপনি আপনার বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে পরিশ্রম করেছেন। এক জন গর্বিত ছেলের মতো শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান।’’
বাবা, মায়ের পাশে থাকার কথা লিখেছিলেন চহাল। কিন্তু স্ত্রী ধনশ্রীর পাশে থাকার কথা বলেননি ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার। ফলে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা আরও তীব্র হয়।
২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে চহাল বিয়ে করেন। ধনশ্রী ছিলেন তাঁর নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচ শিখতে গিয়ে দু’জনের আলাপ। দু’জনেই সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। প্রায়ই নিজেদের ছবি দেন। তবে সম্পর্ক যে ঠিকঠাক নেই তা বোঝা গিয়েছিল কয়েক মাস আগেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy